বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান ও মহিলা সুরক্ষা ওপর প্রাথমিক নজর দেওয়া হবে : অগ্নিমিত্রা পল
আদিবাসী ধেনুয়া গ্রাম পরিদর্শন করলেন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : “বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে প্রথম পদক্ষেপ হবে কর্মসংস্থান ও মহিলা সুরক্ষা” বুধবার ঠিক এভাবেই আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত ইসকো এরোড্রামের কাছে ধেনুয়া গ্রামে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করে অভাব অভিযোগের বিষয়ে জেনে স্পষ্ট ভাষায় সাংবাদমাধ্যমকে বললেন রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সঙ্গে ছিলেন জেলার মহিলা মোর্চা সভানেত্রী পাপিয়া পাল, এছাড়া রাজ্য নেতৃত্ব কেয়া ঘোষ, সৌমিতা রাহা প্রমুখ।
তিনি উপস্থিত মানুষজনকে বলেন ক্ষমতায় আসলে তার দল বাস্তবিক সোনার বাংলা গড়বে। বর্তমান তৃণমূল সরকার রাজ্যে বড় কোনো শিল্প আনতে পারেন নি। গ্রামে পাকা বাড়ি তৈরীর ক্ষেত্রেও রয়েছে বিস্তর দুর্নীতি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ তৈরী হয়েছে। সন্ধ্যে বেলায় মহিলারা বাড়ির বাইরে বেরোলেই ধর্ষিতা হতে হয়।রাজ্যে আইনের শাসন তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এছাড়া তিনি ধেনুয়া গ্রামের আদিবাসী মহিলাদের সাথে কথা বলার পর বলেন যে তাদের জন্য কোনো শৌচালয় নেই। এমনকি তাদের তালির বাড়ির এক পাশে বেড়া দিয়ে বেগুন চাষ করবার সামর্থ্য নেই অথচ প্রধানমন্ত্রী শৌচালয় তৈরীর জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছেন। আদিবাসী মহিলাদের অভাব দুর করার জন্য সব সময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন
অগ্নিমিত্রা।
বস্তুত পূর্ব সূচি অনুযায়ী বুধবার কলকাতা থেকে আসানসোল এসেই প্রথমে বিকেল ৪ টের সময় কুলটি পৌঁছে কুলটি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের কাছে পৌঁছে দেন শাড়ি ও কম্বল। এরপর সন্ধ্যার সময় তিনি যান আসানসোল রিভারসাইড ছড়িয়ে প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত ধেনুয়া গ্রামে।
এদিকে আসানসোলে সিবিআই কোর্টে গতকাল গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে তোলা হলে তার ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত হয়। এই বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া যে তিনি গর্বিত যে ভারতবর্ষে সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে। দোষীদের শাস্তি হবেই তাতে কেউ সাধারণ মানুষ হোক অথবা বি এস এফ কমান্ড্যান্ট হোন না কেন। কিছুদিন আগে দেশের স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ এর বাঁকুড়া সফরের সময় আসানসোল এবং বিভিন্ন জায়গায় সিবিডিটি অভিযানকে তিনি সদর্থক পদক্ষেপ হিসেবে সমর্থনও করেন।