ASANSOLDURGAPUR

গুন্ডাদের আটকাতে ঘরে অস্ত্র রাখার নিদান রাজু বন্দোপাধ্যায়ের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৪ নভেম্বরঃ তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনীরা মারতে এলে চামড়া গুটিয়ে নিন ওদের। মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরে দলের এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাঢ় বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তৈরী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাদের মেরে চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার নিদান দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপির রাঢ় বঙ্গের পর্যবেক্ষকের পরামর্শ, বাড়িতে বাড়িতে অস্ত্র রাখুন। বিজেপির
এই রাজ্য নেতাকে অবশ্য রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি খুবই সংযতভাবে পাল্টা আক্রমণ করেছেন।

বিজেপির মিছিলে শামিল রাজু ব্যানার্জি ও কর্মীরা


এদিন দূর্গাপুরের পারুলিয়াতে বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও দলীয় কর্মর স্বরূপ শোয়ের হত্যার ঘটনায় তার মা ও দাদাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এক কর্মসূচীর আয়োজন করেছিল পশ্চিম বর্ধমান বিজেপি জেলা। সেই কর্মসূচি থেকে বিজেপির এই রাজ্য নেতা নিদান দিয়ে বলেন, তৃনমুল কংগ্রেসের গুন্ডাদের রুখতে ঘরে ঘরে দেবদেবীদের অস্ত্র রাখুন। কারণ খালি হাতে এদের বধ করা যাবে না। মানুষ কি মরবে নাকি?


পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে বিজেপির রাঢ় বঙ্গের পর্যবেক্ষক বলেন, রাজ্যে পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস এখন এক হয়ে গেছে। তৃণমূলের ভয়ে টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ে পুলিশ। সেই পুলিশের কাছ থেকে কখনো সুবিচার আশা করা যায়না। আর এর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে দায়ী বলেই বিজেপি রাজ্য নেতা রাজু বন্দোপাধ্যায় মনে করেন। তার আরো অভিযোগ, কোন ঘটনা ঘটলেই পুলিশ তদন্ত না করেই আগে বলে দিচ্ছে, যে সে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ আগে কি করে জানলো? দলের বিধায়ককে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলো। আর পুলিশ সুপার বলে দিলেন তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছি। হিম্মত থাকলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, তা করান। তাহলে বুঝবো। এদিন দলীয় কর্মীর স্বরূপ শো হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবী জানিয়ে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা পারুলিয়া এলাকায় মিছিল করেন। দলের জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই সহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিলেন।


এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, পুলিশ তো ঘটনার তদন্ত করে রহস্য বার করেছে। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর যারা আসানসোল দূর্গাপুর এলাকায় শান্তি চান ও এখানকার মানুষদের ভালোবাসেন, তারা কখনোই কাউকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলবেন না। যারা অশান্তি চান বা দাঙ্গা ভালোবাসেন তারাই হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা বলবেন। যারা এইসব বলছেন, তারা সঠিক সময়ে ঠিক জবাব পেয়ে যাবেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বরূপ শোর হত্যাকান্ডকে বিজেপি শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ করার ইস্যু করেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *