ASANSOLASANSOL-BURNPURKULTI-BARAKAR

কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে আসানসোল, বার্ণপুর ও কুলটিতে বিজেপির পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় : বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (J P Nadda) – র কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে পথে নেমেছে বিজেপি। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় চলছে অবরোধ-বিক্ষোভ।

এরই রেশ এসে পড়ল পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সদর আসানসোলের সঙ্গে বার্নপুর ও কুলটিতে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা গড়াতেই আসানসোলের চিত্রা মোড়ে রাস্তার ওপর বসে পড়েন বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চাটার্জি, যুব মোর্চার পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অরিজিৎ রায়, বিজেপি জেলা সহ সভাপতি অপূর্ব হাজরা, এছাড়া জেলার সেক্রেটারি সুধা দেবী ছাড়াও মন্ডলের সভাপতি ও সম্পাদক গণেশ মাড্ডি ও গৌরাঙ্গ পাল, ওবিসি মোর্চার চন্দন সাউ প্রমুখ।

একইভাবে কুলটির নিয়ামতপুরে ও আসানসোলের হটন রোড মোড়ে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মীরা। দু জায়গায় নেতৃত্ব দেন দুই মন্ডল সভাপতি সুদীপ চৌধুরী ও
অমিত গড়াই।
আসানসোলের তিনটি জায়গাতেই পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বস্তুত উল্লেখযোগ্য, বৃহস্পতিবার জে পি নাড্ডার
কর্মসূচি ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে ।
গাড়িতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় সহ অন্যান্যরা।
সেখানে যাওয়ার পথে সরিষা, শিরাকোল-সহ একাধিক স্থানে তাঁর কনভয় আটকানো হয়। হামলাও চলে বিজেপি নেতাদের গাড়িতে। ছোঁড়া হয় ইটের টুকরো। কারও কারও গাড়ির কাঁচ ভেঙে গিয়েছে। হাত জখম হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। এই হামলার জন্য পুরোপুরি তৃণমূলকে দায়ী করেছেন নাড্ডা। তিনি নিজে অমিত শাহর কাছে নালিশও জানিয়েছেন।

তবে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, জেপি নাড্ডার কনভয়ে কোনও হামলা হয়নি। পথচলতি কিছু মানুষ গাড়িতে পাথর ছুঁড়েছে। তবে তার বহু পিছনে ছিল নাড্ডার কনভয়। প্রত্যেকেই সুরক্ষিত রয়েছেন।

হামলার দায় তৃণমূলের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাড্ডাকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, ”বেচারা কী করবেন, বুধবার প্রচার পাননি, তেমন ভিড় হয়নি সভায়। তাই আজ গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন প্রচারসভা করতে। নিজেরা নাটক করে ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূলের উপর দোষ দিচ্ছে। ওদের সাজানো না হলে কীভাবে ঠিক ওই মুহূর্তের ছবি পেল?” ঘটনাকে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনরোষ বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ”আজ বিজেপির জেপি নাড্ডা ডায়মন্ডহারবারে গিয়ে গাড্ডায় পড়েছে। তা আমি কী করতে পারি? সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের দায়িত্ব আমার নয়!”

 

Leave a Reply