Asansol : কোভিড হাসপাতাল ও আরটিপিসিআর নিয়ে আলোচনা
আসানসোল জেলা হাসপাতালে রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক, মন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতি
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১২ ডিসেম্বরঃ আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠক শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হলো জেলা হাসপাতালের ডিএনবি হলে। সমিতির চেয়ারম্যান হিসাবে এই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
অন্যদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ( সহক সিএমওএইচ) ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাজি, জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, নার্সিং সুপার ও সহকারী সুপাররা।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2020/12/IMG-20201212-WA0062.jpg?resize=500%2C375&ssl=1)
প্রসঙ্গতঃ, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় একমাত্র কোভিড ১৯ হাসপাতাল আছে দূর্গাপুরে। বলতে গেলে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল করা হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে আছে আইসোলেশান ওয়ার্ড। সম্প্রতি জেলায় করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেশকিছুটা হলেও কমেছে। আক্রান্ত ও সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা কোনদিন কম বা কোনদিন সমান সমান। সেই কারনে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দূর্গাপুরের কোভিড ১৯ হাসপাতালকে তুলে দেওয়া হবে। তার পরিবর্তে জেলা হাসপাতালে আইসোলেশান ওয়ার্ড লাগোয়া অংশকে কোভিড হাসপাতাল করা হবে।
ইতিমধ্যেই তারজন্য পরিকাঠামো তৈরী করতে রাজ্যের চিঠিও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে এসেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মাসখানেকের মধ্যে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে যাবে।
পাশাপাশি জেলা হাসপাতালের প্যাথোলজিতে করোনা পরীক্ষার জন্য আরটিপিসিআর ল্যাব তৈরী কাজ শুরু হয়েছে। ২১ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সেই ল্যাব শুরু হয়ে যাবে।
ইএসআই হাসপাতালে কোভিড হাসপাতাল করা যায় কিনা
এদিনের রোগী কল্যান সমিতির বৈঠকে এই দুটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মন্ত্রী মলয় ঘটককে দুটি বিষয়ে অবহিত করা হয়। তিনি আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে কোভিড হাসপাতাল করা যায় কিনা, তার একটি প্রস্তাব দেন।
তিনি তার এই প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। সিএমওএইচ মন্ত্রীকে বলেন, আরটিপিসিআর ল্যাব তৈরীর কাজ চলছে। কিছু মেশিন এসেছে। আরো কিছু আসা বাকি আছে। এছাড়াও নতুন এমারজেন্সি বিভাগের উপরে ট্রমা কেয়ার সেন্টার পুরো মাত্রায় চালু করার জন্য মন্ত্রী এদিন বলেন। আপাততঃ এই সেন্টারের একটা অংশ চালু করা হয়েছে। কিছু অর্থোপেডিক বিভাগের রোগীকে এখানে ভর্তি করা হচ্ছে।
সুপার মন্ত্রীকে বলেন, ট্রমা সেন্টারে জন্য আসা অনেক মেশিন অন্য হাসপাতালে চলে গেছে। সেগুলো আনার ব্যবস্থা করা হোক৷ মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সবাইকে ভালো ব্যবহার করতে হবে
এছাড়াও, সম্প্রতি এক রোগীর চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাওয়া নিয়ে ওয়ার্ডে কর্মরত নার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে দূর্ব্যবহারের। এদিনের বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনার পরে মন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন। সিএমওএইচ হাসপাতাল সুপার ও নার্সিং সুপারকে এই ব্যাপারে শুধু নার্স নয়, চিকিৎসক থেকে সব কর্মীদের সতর্ক করে দেওয়ার জন্য বলেন। পরিষ্কার বলা হয়েছে, রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সবাইকে ভালো ব্যবহার করতে হবে।
পরে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, সবকিছু নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।