আইপ্যাকের জন্য তৃনমুল কংগ্রেসের এই অবস্থা, এত অঘটন
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করে বিস্ফোরক দাবি সাংসদ সুনীল মন্ডলের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ১৬ ডিসেম্বরঃ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে প্রথম বার বুধবার সন্ধ্যায় বর্ধমান পূর্বের তৃনমুল কংগ্রেসের সাংসদ সুনীল মন্ডলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের কাঁকসার পানাগড়ের বাড়িতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছুক্ষুন সাংসদের বাড়িতে থেকে বৈঠক করে কোন মন্তব্য না করে সেখান থেকে চলে যান শুভেন্দু অধিকারী।
পরে সাংসদ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন।

আইপ্যাক মেন কালপ্রিট
তিনি বলেন, আমি শুভেন্দুর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম তুমি এমন কেন এত বড় সিদ্ধান্ত নিলে? সে আমায় বলে এইভাবে কোন দল চলতে পারে না। দলে কোন মাথা নেই। সাংগঠনিক কোন জায়গা নেই। নেত্রীকে বারবার বলেও কিছু হয়নি। তিনি কোন কথা শোনেননা। একটা জায়গায় বারবার নেত্রী হোঁচট খাচ্ছেন। সুনীল মন্ডল সরাসরি বলেন, এদিন সবার সঙ্গে কথা বলে এটা আমার মনে হয়েছে তৃনমুল কংগ্রেসে বর্তমানে এই ভাঙ্গন ও বিপ্লবের জন্য আইপ্যাক দায়ী। আইপ্যাক না এলে তৃনমুল কংগ্রেসের এই অবস্থা হতো না। এত অঘটন ঘটতো না। আইপ্যাক মেন কালপ্রিট।

সুনীল মন্ডলের দাবি, আমার দল ছাড়া নিয়ে কোন কিছু জানতে চায়নি। আমিও বলিনি। আমাকে তার সঙ্গে কোন দলে যোগ দানের কথাও বলেনি। সত্যি কথা বলতে আমি আইপ্যাককে কোনদিনই মানিনা। আমরা সবাই মুক্ত রাজনীতিবিদ। আমাকে শুভেন্দু খুব শ্রদ্ধা করে। আমি আগে যতবার মেদিনীপুরে সভা করতে গেছি, ততবারই সে আমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখতো। ওর বাড়িতেই আমি খাওয়াদাওয়া করতাম। আইপ্যাকের পাশাপাশি কি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের উপরে শুভেন্দুর ক্ষোভ কি আছে?
এই প্রসঙ্গে সুনীলবাবু বলেন, সেটা একটু হলেও হয়তো আছে। তবে আইপ্যাকের উপরেই বেশি। আইপ্যাক অভিষেককে ভুল বোঝাচ্ছে। দলকেও ভুল পথে পরিচালনা করছে। আইপ্যাক ভুলে যাচ্ছে, এটা বাংলা। বাংলায় এইসব চলেনা। এটা বিহার বা উড়িষ্যা নয়।
তবে এদিন সুনীল মন্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকা আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তেওয়ারি, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী সহ অন্য নেতারা কোন মন্তব্য করতে চাননি।