Bengali NewsDURGAPURLatestPoliticsWest Bengal

বেসুরো সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে এলেন শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তেওয়ারি, সঙ্গী কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী

বৈঠকের পর কি বললেন বেসুরো সাংসদ সুনীল

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল ও দূর্গাপুর, ১৬ ডিসেম্বরঃ বিকেল চারটের সময় কলকাতায় বিধানসভায় সচিবের হাতে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা পত্র তুলে দিয়েছিলেন। তার ঠিক তিন ঘন্টার মধ্যেই বুধবার সন্ধ্যা সাতটার সময় পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের কাঁকসা থানার পানাগড়ে তৃনমুল কংগ্রেসের সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে চলে এলেন শুভেন্দু অধিকারী।


তার ঠিক আধঘন্টা আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছটার সময় আসানসোল থেকে সাংসদের বাড়িতে পৌঁছে যান দলের প্রতি ক্ষুব্ধ আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি।

জেলার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা

তার সঙ্গী হিসাবে ছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য নেতা এসবিএসটিসি বা দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। জিতেন্দ্র তেওয়ারির সঙ্গে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্য। সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে চলে আসেন কালনার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু ও গুসকরার বিদায়ী কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশকয়েকটি জেলার বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।


প্রসঙ্গতঃ, বর্ধমান পূর্বের তৃনমুল কংগ্রেসের সাংসদ সুনীল মন্ডলের ছবি ও শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সহ প্রচুর ব্যানার ও ফ্লেক্স এদিন সকাল থেকে কাঁকসা ও পানাগড়ে ছেয়ে যায়। এর আগেও একই ধরনের ব্যানার ও ফ্লেক্স ঐ এলাকায় টাঙানো হয়েছিলো। এদিন সাংসদ দলের বিভিন্ন কাজ নিয়ে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তবে জিতেন্দ্র তেওয়ারির মতো রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সমালোচনা করা বা পদ ছাড়ার মতো হুমকি অবশ্য এই সাংসদ দেননি।

সাংসদ বলেন, এই ব্যানার কে বা কারা টাঙ্গিয়েছে আমি জানি না। তবে এটা তো ঠিক কোথাও একটা ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। না হলে, এমনটা হয়না। তবে এটা ঠিক, দল ঠিক ভাবে চলছেনা। আমি নিজে এক বিধায়কের নামে ক্লাব থেকে টাকা তোলার অভিযোগ করেছিলাম। পরে দেখলাম তাকেই দলের বড় দায়িত্ব দেওয়া হলো। এইভাবে কি দলে থাকা যায়?


অন্যদিকে, এদিনই দল থেকে পাওয়া সব পদ ছাড়ার হুমকি দূর্গাপুরের একটি সভা থেকে দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি । তারপরই এদিন বিকালে উত্তরবঙ্গ থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে ফোন করেন। তাকে ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় আসতে বলেন কথা বলার জন্য। রাত আটটার শেষ খবর সুনীল মন্ডলের বাড়ি থেকে কেউ বেরোননি। তারা সাংসদের বাড়ির ভেতরে রয়েছেন। শোনা যায় তারা বৈঠক করছেন।