বিজেপির হিরাপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ
https://youtube.com/shorts/tm1cLj9rsOg
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় :
রবিবার রাতে আসানসোলে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোরুইয়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ।
আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের অধীন হিরাপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মীরা। সেখানে তারা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। এই উপলক্ষে বিজেপি কর্মীরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোরুই বলেন, জেলায় আইনশৃঙ্খলা তলানিতে এসে পৌঁছেছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই। অন্যথায়, এর বিরুদ্ধে পুরো জেলায় আন্দোলন হবে। তিনি বলেছিলেন যে দুর্গাপুরের টিএমসি নেতা গতকাল বৈঠকে বিজেপিকে আক্রমণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং তার কয়েক ঘন্টা পরে এই ঘটনা ঘটে। ওইসময় বিজেপি নেতা শঙ্কর চৌধুরী , পবন সিং, অমিত গড়াই, উপসনা উপাধ্যায়, সুদীপ গুহ রায়, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বস্তুত, রবিবার দুষ্কৃতীদের গুলির থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান কৃষ্ণেন্দু। রবিবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে ফিরে নিজের বাড়িতে গাড়ি রাখবার সময় তিনজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী প্রথমে গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করে। গাড়িতে সয়ংক্রিয় অটো লক থাকায় গাড়ির দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় এবং আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। আততায়ীরা প্রত্যেকেই চাদর মুড়ি দিয়ে পায়ে হেঁটে এসেছিল। গুলি চালানোর সময় কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি গাড়ির ভেতরেই ছিলেন। তিনি গুলি চালানোর ব্যাপারটি লক্ষ্য করে ক্রমাগত স্টিয়ারিং থেকে হর্ন বাজাতে থাকেন এবং তার ড্রাইভার চিৎকার করে লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরই ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষজন জমা হয়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন।
তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে : কৃষ্ণেন্দু
রবিবার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জিকে সাংবাদিকের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “দলীয় কার্যক্রমে তিনি কলকাতা গিয়েছিলেন। পরের দিন আসানসোলে বেশ কিছু দলীয় বৈঠক ছিল। বাড়িতে ঢোকার সময় এই ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলাম। আমার সন্দেহ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলে তাদেরই লাভ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে এই ঘটনাই তার প্রমাণ। উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
এদিকে পুলিশের তরফ থেকে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য সোর্স মারফত খতিয়ে দেখে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।