Bengali NewsDURGAPURPolitics

দূর্গাপুরে শুভেন্দুর রোড শোয়ে জনজোয়ার,এনামুল ও লালার প্রসঙ্গ টেনে আক্রমন.

যোগদান মেলার সভা থেকে বাংলা থেকে, তৃনমুল কংগ্রেসকে উৎখাত করার ডাক

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ১২ জানুয়ারিঃ দেড়/ দুজন ও এনামুল-লালার তৃণমূল কংগ্রেসকে বাংলা থেকে আরো একবার উৎখাত করার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম বর্ধমান জেলার ইস্পাত নগরী দূর্গাপুরে মঙ্গলবার আসানসোল জেলা বিজেপির ডাকে হওয়া যোগদান মেলার সভা থেকে এইভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র।


এদিন বিকালে দূর্গাপুরের প্রান্তিকায় এই যোগ দান মেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দূর্গাপুর, বর্ধমান – দূর্গাপুর, বাকুঁড়া ও ব্যারাকপুরের সাংসদ সুনীল মন্ডল, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, ডাঃ সুভাষ সরকার, অর্জুন সিং ও জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অরিজিৎ রায়।

এই সভার শেষে প্রান্তিকা থেকে ভিড়িঙ্গি পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তায় রোড শো করা হয়। রোড শোয়ে হুডখোলা গাড়িতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী রোড শোয়ে বেশকিছুট রাস্তা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ের বুলেটে ছিলেন।


যোগদান মেলার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, আমি তৃনমুল কংগ্রেসে ততদিন ছিলাম, যতদিন সেটা একটা রাজনৈতিক দল ছিলো। যখন বুঝলাম তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে, তখন সেটা ছেড়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিজেপিতে চলে এলাম। আমি এই দলে মাত্র তিন সপ্তাহ হলো এসেছি। কিন্তু তার মধ্যেই আমি বিজেপি পরিবারের একজন হয়ে গেছি। সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। তারজন্য বিজেপির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার একটাই লক্ষ্য এবারের বিধান সভা নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃনমুল কংগ্রেসকে উৎখাত করে বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া। না হলে বাংলাকে বাঁচানো যাবে না।


শুভেন্দু আরো বলেন, আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম তখন সেই দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে বলতাম বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও। আর এখন বলছি, ” তোলাবাজ ভাইপো হঠাও বাংলা বাঁচাও। ” তৃনমুল কংগ্রেস না সরলে, এখানে গনতন্ত্র থাকবে না। আপনারা ভোট দিতে পারবেন না। ২০১৭ সালের দূর্গাপুর পুরনিগমের নির্বাচনে কি হয়েছিলো, তা আপনারা সবাই জানেন। বিজেপি বাংলায় এলে পঞ্চায়েত ও পুর ভোট নিরপেক্ষতার সঙ্গে হবে। এই পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৯ টি বিধানসভায় বিজেপিকে জেতানোর জন্যে তিনি আহ্বান করেন।

তিনি বলেন, আমাকে কেন বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার দলের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরানো হয়েছিলো জানেন? যাতে ভাইপো সরাসরি এই এলাকার কয়লা ও বালির চোরাকারবারের টাকা সরাসরি পায়। লালা, এনামুল থেকে বিনয় মিশ্র পর্যন্ত গেছে সিবিআই। এবার আর একটা চৌকাঠ। তাহলেই ভাইপো।

শুভেন্দু এদিনের সভা থেকে কটাক্ষ করে বলেন, ” লাল চুল, কানে দুল, তার নাম যুব তৃনমূল। ” এদিনের সভায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার তৃনমুল কংগ্রেসের কর্মী ও নেতা বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন। শাসক দলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য দূর্গাপুরের এই সভা ও রোড শোকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।

Leave a Reply