পাড়া বৈঠক পাইলট প্রকল্পের প্রশিক্ষণের সূচনা
রাজ্যের ছয় জেলার ২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই পাইলট প্রজেক্ট এর আওতায় আনা হয়েছে
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল: রাজ্যে ছটি জেলায় ২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত কে বেছে নিয়ে পাড়া বৈঠক নামে এক পাইলট প্রকল্পের (Pilot Project) প্রশিক্ষণের সূচনা হলো শুক্রবার। এই পঁচিশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি প্রতিনিধি এবং পঞ্চায়েত গ্রামীন ও উন্নয়ন দপ্তরের জেলা আধিকারিক এবং বিডিও ও ব্লক ইনফরমেটিক্স অফিসারদের নিয়ে প্রশিক্ষণ হয়ে গেল শুক্রবার। এই প্রশিক্ষণের সূচনা করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ দপ্তরের সচিব দিব্যেন্দু দাস।




গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাজের নিরিখে রুপনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কে বাছা হয়েছে । এছাড়াও এই পাইলট প্রকল্পে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত ,হুগলির ৭ টি, উত্তর ২৪ পরগনার একটি মেদনীপুর পশ্চিমের দুটি এবং হাওড়ার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত কে বাছা হয়েছে।
পাড়ার বৈঠকে অ্যাপসের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে হবে
এতদিন পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সংসদ গুলিতে গ্রামে গিয়ে যে বৈঠক হত তার ভিত্তিতে কাজকর্ম হত। কিন্তু রাজ্য সরকারের হাতে একেবারে গ্রামের পাড়া থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত পর্যন্ত তেমন কোন ডাটা ব্যাংক বা তথ্য ছিল না । সেই তথ্য সংগ্রহ করে তা পাড়ায় বৈঠক নামে অ্যাপসের মাধ্যমে সরকারি ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে হবে এবং শুধু তথ্য নয় এই ধরনের বৈঠকে পাড়ার মৌলিক সমস্যাগুলি ছবি তুলে পাঠাতে হবে অর্থাৎ নাগরিকদের এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে যাবতীয় সমস্যা যেমন উঠে আসবে তেমনি মানব সম্পদ সংক্রান্ত সাতটি বিষয়ের নির্দিষ্ট তথ্য পাড়ার বৈঠক থেকে পঞ্চায়েতের কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের তুলে নিতে হবে । এবং তা পাড়ার বৈঠকে অ্যাপসের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে হবে ।
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সর্বোচ্চ আধিকারিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমজিৎ চক্রবর্তী জানান মানব সম্পদ সংক্রান্ত তথ্য গুলোর মধ্যেই যেমন এলাকায় মহিলাদের সংখ্যা, তাদের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির সামগ্রিক বিষয়, আবার শিশুদের পুষ্টি সংক্রান্ত বা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় অথবা এলাকার মোট জনসংখ্যা কতজন পুরুষ, মহিলা কত , এই সমস্ত কিছুই উঠে আসবে। অর্থাৎ এক ধরনের সেন্সাস হয়ে যাবে।
অভিনব এই কাজের জন্য রুপনারায়নপুর কে বাছা হয়েছে
পাশাপাশি পাড়ার বৈঠকে এলাকার রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎনিকাশি ব্যবস্থ্যা, নানান সমস্যাগুলো যেদিন যা আলোচনা হবে সেদিন সেই আলোচনা গুলি ঐ অ্যাপস এর মধ্যে দিয়ে একেবারেই ছবিসহ ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিতে হবে। সমস্ত তথ্য জেলা এবং রাজ্য দুই জায়গায় পৌঁছাবে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা সেখান থেকে নেওয়া হবে ।অভিনব এই কাজের জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এগিয়ে থাকা পঞ্চায়েত হিসেবে রুপনারায়নপুর কে বাছা হয়েছে ও সারা রাজ্যের ছয় জেলার ২৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই পাইলট প্রজেক্ট এর আওতায় আনা হয়েছে ।আমাদের আজকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে এই নিয়ে প্রশিক্ষণও হয়েছে এবং তাতে যেমন রুপনারায়নপুর পঞ্চায়েতের কর্মীরা,ডি আই ও,বি আই ও ছিলেন, সালানপুর বিডিও অদিতি বসু ছিলেন জেলা থেকে আমিও ছিলাম ।
আগামী দিনে এই পাইলট প্রকল্পের কাজ কর্মের উপর ভিত্তি করেই রাজ্যজুড়ে তা সর্বত্র হবে এবং অবশ্যই সারাদেশের ক্ষেত্রে এটি একটি নজির হবে। সালানপুরের বিডিও অদিতি বসু বলেন আমরা গর্বিত কেননা আমাদের ব্লক থেকে সারা জেলার মধ্যে এমন একটি পঞ্চায়েতকে কে বাছার জন্য ।আমি নিজেও আজকে প্রশিক্ষণ এ ছিলাম ।আর রুপনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রানু রায় এবং এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট সুবল ঠাকুর দুজনেই বলেন এইসময় দুয়ারে সরকারসহ প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজের জন্য চাপ বেশি। তা সত্ত্বেও আমরা গর্ববোধ করছি আমাদের পঞ্চায়েত কে পাইলট প্রজেক্ট এর মধ্যে বেছে নেওয়ার জন্য।