Bengali NewsDURGAPUR

শুরু হলো দুর্গাপুর ব্যারেজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ, চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ১ ফেব্রুয়ারিঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুর ব্যারাজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হলো ১ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে। টেকনিক্যাল ভাষায় যাকে বলা হচ্ছে “কন্ডিশন সার্ভে “৷ যা চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত বারোটা পর্যন্ত। এই কদিনে পুরো ব্যারাজ অবশ্য বন্ধ থাকছেনা। একটি লেন দিয়ে গাড়ি চলাচল হবে।

তবে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত বারোটা থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত বারোটা পর্যন্ত ব্যারাজের ” লোড সার্ভে’ বা ভারবহন করার পরীক্ষা হবে। যে কারণে দূর্গাপুর ব্যারাজ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।

জানা গেছে, ১৯৫২ সালে শুরু হয়েছিল এই ব্যারাজ নির্মাণের কাজ। ১৯৫৫ সালের ৯ আগষ্ট ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি ডাঃ সর্বোপল্লি রাধা কৃষ্ণনের হাত দিয়ে হয়েছিল গাড়ি চলাচল শুরু। তারপর পার হয়ে গেছে সাড়ে ছয় দশকেরও বেশি সময়। প্রযুক্তিগত ভাবে ৬০ বছর পার হলে এই ধরনের সেতু ব্যারাজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়া জরুরি।

কিন্তু সেই ৬০ বছরের পরে আরো ৬ বছর পেরিয়ে গেছে এই দূর্গাপুর ব্যারাজের । গত ২০১৭ সালে ব্যারাজের ১ নং লকগেট ভেঙে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। জল সংকটের মধ্যে পড়েছিল দূর্গাপুর শহর। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে আবার একই ঘটনা ঘটে। এবার ৩১ নং লক গেট ভেঙ্গে গিয়ে বিপত্তি হয় । সেই গেট মেরামতের জন্য ব্যারেজের জল খালি করতে হওয়ায় সাতদিন জল সংকটে পড়তে হয়েছিলো দূর্গাপুর শহর সহ বাঁকুড়া জেলার একাংশকে।


এই ব্যারেজের দৈর্ঘ্য ৬৯২.২ মিটার ও প্রস্থ ৬.৭০ মিটার। এই ব্যারেজের নিচের সিমেন্টের ঢালাই অংশ পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে সোমবার জানান দামোদর হেড ওয়ার্ক সাব ডিভিশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার গৌতম বন্দোপাধ্যায়। এই কাজ চলবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল এগারোটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই কাজের জন্য ব্যারাজের একাংশ বন্ধ থাকবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি সারাদিন বন্ধ থাকবে এই ব্যারাজ।


প্রসঙ্গতঃ, দক্ষিণ ভারত থেকে বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই ব্যারাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভবিষ্যতে যাতে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে এই প্রথম পরীক্ষা বলে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জানান।

Leave a Reply