১০ বছর ধরে রাজ্যের মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা ও দ্বিচারিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কে আক্রমন অগ্নিমিত্রা পালের
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যয়, আসানসোল, ৯ ফেব্রুয়ারিঃ (Asansol Burnpur News) ১০ বছর ধরে রাজ্যের মানুষদের সঙ্গে দ্বিচারিতা ও প্রতারণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি সব ছেড়ে দিয়ে নিজের ভাইপোকে প্রমোট করেছেন৷ মঙ্গলবার আসানসোল দক্ষিণ মন্ডল ৩ এর উদ্যোগে হওয়া অনুষ্ঠানে এসে এইভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমন করলেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
এদিন তিনি আসানসোল দক্ষিণ মন্ডল-৩র উদ্যোগে হওয়া আসানসোল পুরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মসূচিতে যোগদান করেন। প্রথমে ৯৪ নং ওয়ার্ডের ধেনুয়া গ্রামে সাধারণ মানুষদের কম্বল বিতরণ করেন তিনি। এরপর নামো জামডোবা গ্রামে এক অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণ করেন তিনি। ৮৭ নং ওয়ার্ডের ডামরাতে রেলিতে অংশ গ্রহণ করার পরে অগ্নিমিত্রা পাল একটি জনসভায় বক্তব্য রাখেন। সবশেষে ৩৯ নং ওয়ার্ডের ডাঙ্গ মহিশীলায় দলের একটি পার্টি অফিস উদ্বোধন করেন তিনি।
বাংলার বেকার ছেলেমেয়েদের তিনি চাকরি দিতে পারেননি
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অগ্নিমিত্রা পাল আরো বলেন, ১০ বছরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় কিছু করেননি। বাংলার বেকার ছেলেমেয়েদের তিনি চাকরি দিতে পারেননি। বড় শিল্প তো অনেক দূরের ব্যাপার, বাংলায় এই ১০ বছরে মাঝারি ও ছোট শিল্পও হয়নি। বাংলার ছেলেমেয়েরা কাজ করতে বিজেপি শাসিত রাজ্যে গেছে। অথচ আমাদের দলের ঐ রাজ্যের নেতারা যখন এই রাজ্যে আসছেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় তাদেরকে বহিরাগত বলছেন। যদি ঐসব রাজ্যে বাংলা থেকে যাওয়া ছেলেমেয়েদের বহিরাগত বলে, তখন তিনি সামলাতে পারবেন তো।
তিনি আরো সমালোচনা করে বলেন, এখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় কোন পরিকাঠামো তৈরী হয়নি গত ১০ বছরে। সবুজসাথীতে ভাঙ্গা সাইকেল স্কুল পড়ুয়ারা পেয়েছে। হাসপাতাল ভবনের রং নীল সাদা হয়েছে। বাংলার গর্ব মমতা বলে যতই প্রচার করা হোক না কেন, তিনি আর রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন না। রাজ্যে বিজেপিই সরকার গড়বে। বাংলার মানুষেরা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত করে ফেলেছেন।
এদিনের অনুষ্ঠানগুলিতে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য সম্পাদিকা বর্ণালী সিনহা, জেলার কো- পর্যবেক্ষক রীতা ঘোষাল, জেলার মহিলা মোর্চা সভানেত্রী পাপিয়া পাল, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, জেলার সাধারণ সম্পাদিকা পারমিতা পট্টনায়ক, মহিলা মোর্চার মন্ডল সভানেত্রী সঙ্গীতা চৌহান, বিজেপির মন্ডল সভাপতি রাজকুমার চট্টোপাধ্যায়।