ASANSOLBengali NewsKULTI-BARAKAR

কয়লাকাণ্ডে সিআইডি তদন্তে মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র কটাক্ষ,পাল্টা জবাব তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের

কয়লাকাণ্ডে প্রথম কাকে গ্রেফতার করা উচিত ? সেই তালিকাটা বাংলার মানুষই দিদির হাতে তুলে দেবেন

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৯ ফেব্রুয়ারিঃ সিবিআইয়ের পাশাপাশি কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশের সিআইডি। এই প্রসঙ্গে আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “রাজ্য সরকার না সিআইডি কে তদন্ত শুরু করলো তাতে কিছু এসে যায় না। তবে কয়লাকাণ্ডে প্রথম কাকে গ্রেফতার করা উচিত ? সেই তালিকাটা বাংলার মানুষই দিদির হাতে তুলে দেবেন। বাবুল সুপ্রিয় নাম না করে দিকেই এদিন তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন বলে
রাজনৈতিক মহল মনে করেছে।

তিনি বলেছিলেন, আমরাও বিজেপির থেকে হাজার হাজার চিঠি সিআইডিকে পাঠাবো। কাকে প্রথম জেরা করা উচিত সেই তথ্য তুলে ধরে তদন্তে সাহায্য করবো।
বাবুল সুপ্রিয়র সেই কটাক্ষের জবাব ফিরিয়ে দিতে সময় নষ্ট না করে বিরোধীতা করলো পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব।

কয়লার টাকা সব থেকে বেশি খেয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব : দাসু


মঙ্গলবার কুলটি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মসূচিতে এসে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু বলেন, কয়লার টাকা সব থেকে বেশি খেয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। লোকাল নেতা থেকে রাজ্য নেতৃত্ব কয়লার টাকা খেয়ে বসে আছে। পশ্চিম বর্ধমানে যে তিনজন দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছে তারা সবাই কয়লা মাফিয়া। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখন তাদের নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দাসু সরাসরি তোপ দেগে বলেন , তাহলে সব থেকে বড় কয়লা মাফিয়া হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ।

তিনি আরো বলেন, বিজেপি যদি কয়লা কাণ্ডে সিবিআই ইডি দেখাবে তবে রাজ্য কেন সিআইডি দেখাবে না? কেন সিআইডি তদন্ত করবে না ? ভি শিবদাসনের পরিষ্কার বক্তব্য , রাজনৈতিক বদলা নেওয়ার জন্য যদি বিজেপি সিবিআইকে ব্যবহার করবে তবে রাজ্যও সিআইডিকে ব্যবহার করবে। সিআইডিও উচিত কয়লা চোরদের খুঁজে বার করা। তিনি বলেন, রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে কটা কেন্দ্রে কয়লা রয়েছে? পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৫ টা, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় ২টো করে ও বীরভূমে ১ টা। বিজেপির তো আর কিছু নেই। তিনটি ইস্যু কয়লা, গরু ও বালি। ঐ দলের নেতারা তো এই তিনটি জিনিস চেনে।


এদিন ভি শিবদাসন দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে চোর ও ডাকাত বলে আক্রমন করেছেন। তিনি বলেন, দুজনেই ১০ বছর ধরে সরকার ও দলে থেকে সব ভোগ করেছে। দুজনেই দূর্নীতিতে জড়িত। যখন দেখলো, দল সব জেনে গেছে আর টিকিট পাবোনা। তখন বিজেপিতে চলে গেলো৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *