ASANSOLBengali News

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এটা, তোলাবাজ ভাইপো কোম্পানিকে হঠাতে হবে

জেলা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার পদযাত্রায় অংশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২১ ফেব্রুয়ারিঃ আমাদের কাছে এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তোলাবাজ ভাইপো কোম্পানিকে হঠাতে হবে। রবিবার আসানসোল জেলা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ডাকা পদযাত্রায় অংশ নিতে এসে এইভাবেই নাম না করে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন দুপুর দুটো থেকে আসানসোলের জিটি রোডের উষাগ্রাম থেকে জেলা যুব মোর্চার এই পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বিকেল চারটের পরে সেই পদযাত্রা শুরু হয়। এই পদযাত্রায় অংশ নিতে এদিন আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও আসেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিম, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।

এছাড়াও ছিলেন রাজ্য বিজেপির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই ও জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অরিজিৎ রায়। শুভেন্দু পদযাত্রায় অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আরো জানান, আমি তো আগেই বলেছিলাম বালি, কয়লা, পাথর খাদান ও গরু পাচারের টাকা তোলাবাজ ভাইপোর কাছে যাই। ম্যাডাম নারুলা কে? তার নামেই তো টাকা দুবাই ও থাইল্যান্ডের ব্যাংকে যায়। আমি তো মেদিনীপুরের সভায় সব দেখিয়েছিলাম৷ আর বড় বড় কথা বলছে সভায় গিয়ে।

বলছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে যাচ্ছে। ঐসব বলে কোন লাভ নেই। তিনি আরো বলেন, আসানসোল, রানিগঞ্জ, বারাবনির মাটির তলা ফাঁকা। জনজীবন বিপর্যস্ত। যারা পাপ করছে, তারা শাস্তি হবে।


সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া আসানসোল ও দূর্গাপুরের দুই কয়লা মাফিয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এরা কে আমি জানিনা। যতদূর জানি, বিজেপিতে এইসব নামে কোন নেতা নেই।
অন্যদিকে, অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআইয়ের নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, কান টানলে মাথা আসে। এটা যে সেটা সবার জানা ছিলো। ২০১৭ সালে আমি এই আসানসোল এলাকায় কয়লা, বালি পাচারের সব ছবি ও তথ্য দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলাম।

আগামী দিনে এই জাতীয় সম্পত্তি কয়লা, বালি, পাথর যারা লুট করেছে, তারা সবাই ধরা পড়বে। এর সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলছে ও চলবে । সিবিআই ও ইডি নিজেদের মতো করে তদন্ত করে।
সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তৃনমুল কংগ্রেস ও পুলিশ এক হয়ে গেছে। পুলিশ তৃনমুল কংগ্রেসের দূষ্কৃতিদের বাঁচাচ্ছে। পুলিশ আটকে থাকা দূষ্কৃতিদের ছেড়ে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের স্বার্থে।

Leave a Reply