ভোট কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভোট কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেল ।এটা চলবে পয়লা মার্চ পর্যন্ত।
অ্যাপস চালু করা হলো ভোটের কার্ড বিতরণের জন্য
অন্যদিকে বিতরণ নামে রাজ্যে প্রথম পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জেলাশাসকের ভাবনায় একটি অ্যাপস চালু করা হলো ভোটের কার্ড বিতরণের জন্য । জানা গেছে এবার নতুন ভোটার এবং সংশোধিত ভোটার দের লক্ষাধিক মত ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়েছে। জেলার এই সমস্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি বুথ লেভেল অফিসার বা বি এল ওরা যখন সেই কার্ড বিলি করতে যাবেন তখন ভোটারের হাতে কার্ড দেওয়ার সময় ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে বিতরণ অ্যাপস এর মাধ্যমে তা পাঠিয়ে দেয়া হবে জেলা নির্বাচন দপ্তরে।
প্রয়োজনে সেখান থেকে কমিশন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। সেই মুহূর্তে যদি সিগনালিং এর কোন সমস্যা হয় তাহলে ওই দিনই তা অন্য জায়গা থেকে পাঠাতে হবে। এতে ভোটার কার্ড সঠিক ভোটারের হাতে পৌঁছনোর নিশ্চয়তা তৈরি হবে এবং কোন ভোটার বলতে পারবেন না যে তিনি ভোটার কার্ড পাননি। জেলার এই অভিনব পরিকল্পনায় যারা ভোটার কার্ড পাচ্ছেন তারাও খুব খুশি।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সব মিলিয়ে এবার ১৫১৭৬ জন ভোট কর্মী ভোট কেন্দ্রে কাজ করবেন ।এদের মধ্যে মহিলা কর্মীসংখ্যা ২২৩২, পুরুষ ভোট কর্মীর সংখ্যা ১২ হাজার ৯৪৪জন। যারা এবার প্রিসাইডিং অফিসার হয়েছেন তাদের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন ৩২০২জন পুরুষ এবং ৫৫৯ জন মহিলার করোনার টিকা নেওয়ার কথা। একইভাবে প্রথম পোলিং অফিসারদের ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি ৩২৪৮ জন পুরুষ,৫৬০ জন মহিলাকে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় পোলিং অফিসারদের মধ্যে ৩২৬১ জন পুরুষ ও ৫৭০ জন মহিলাদের২৭শে ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয় পোলিং অফিসারদের ১লা মার্চ ৩২৩৩ জন পুরুষ ও ৫৪১ জন মহিলাদের করোনার টিকা নেয়ার জন্য তাদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী কুমার মাজি জানান আমাদের জেলা থেকে বিভিন্ন প্রান্তে ৪৬ টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এইসব ভোট কর্মীদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । প্রত্যেকেই যেন নির্দিষ্ট দিনে গিয়ে সেটা নেন। একই সঙ্গে তিনি আবেদন করেন অন্যান্য যাদেরই এই করোনার টিকা দেওয়ার জন্য। বা নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে তারা যেন তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে অবশ্যই তা নেন। কেননা করোনা হলে যে কষ্ট হবে টিকা নিলে কিন্তু তেমন কোন কষ্ট হবে না এটা মনে রাখতেই হবে।