ASANSOLBengali NewsKULTI-BARAKAR

খনি গর্ভে কয়লার চাঁই চাপা পড়ে মৃত্যু এক কর্মীর, চাকরি ও ক্ষতি পূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

ইসিএলের নরসুমদা কোলিয়ারির ঘটনা

বেঙ্গল মিরর ,সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২০ মার্চঃ ইসিএলের আসানসোলের সোদপুর এরিয়ার নরসমুদা কোলিয়ারির খনিগর্ভে কয়লার ছাদ ধসে এক খনি কর্মীর মৃত্যু হয়। শনিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে । ঘটনার জেরে কোলিয়ারি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত কর্মীর নাম শফিক খান (৫৮)। মৃত কর্মী কোলিয়ারিতে এক্সপ্লোসিভ ক্যারিয়ার হিসাবে কাজ করতেন। তার কাজ ছিলো খনির ভেতরে বারুদ সহ এক্সপ্লোসিভ বা বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া।


শনিবার দুপুরে কর্মী মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি সহ সবকটি শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা খনির সামনে চলে আসেন। তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি ছিলো, মৃত কর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরে দাবি মানতে রাজি হন। কতৃপক্ষ মৃত কর্মীর বড় ছেলে শামিম খানকে চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপরে বিক্ষোভ উঠে যায়।


ইসিএল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্যদিনের মতো শনিবার দুপুরে নরসুমদা কোলিয়ারির এক্সপ্লোসিভ শফিক খান খনির ৫০০ মিটার গভীরে বারুদ সহ বিস্ফোরক রেখে দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। বেশ কিছুক্ষুন বিস্ফোরকগুলো ঠিক মতো ফেটেছে কিনা দেখতে কিছুটা এগিয়ে যান শফিক খান। আচমকাই খনির ভেতরে কয়লার ছাদের একটা বড় অংশ তার মাথার উপর ধসে পড়ে। কয়লার চাঁই চাপা পড়ে তিনি অচৈতন্য হয়ে যান। খবর পেয়ে এরিয়ার মেডিকেল অফিসার পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।


ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার সিটুর জেসিসি সদস্য উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সবকটি শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে এই ঘটনার তদন্ত চেয়েছি। পাশাপাশি আমাদের দাবি মেনে ইসিএল কর্তৃপক্ষ একটি চুক্তি করে বলেছে, মৃত কর্মীর বড় ছেলেকে চাকরি ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণের সব টাকা দ্রুত দেওয়ার হবে। এদিকে, সোদপুর এরিয়ার পার্সোনাল ম্যানেজার ( ইনচার্জ ) অরুনাভ দাশগুপ্ত বলেন, শ্রমিক সংগঠনগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মৃত কর্মীর ছেলেকে চাকরি ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ম অনুযায়ী মিটিয়ে দেওয়া হবে। তানিয়ে খনি কতৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি চুক্তিও হয়েছে।