দুদিনে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন জেলার বাম – কংগ্রেস – আইএসএফ জোটের ৯ প্রার্থী
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৫ মার্চঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার নয়টি বিধান সভার বাম – আইএসএফ- কংগ্রেস জোটের নয় প্রার্থী একসঙ্গে দুদিনে নিজেদের মনোনয়ন জমা দেবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসানসোলের আপকার গার্ডেনে জেলা সিপিএমের কার্যালয়ে আইএসএফ, কংগ্রেস, বামফ্রন্টের প্রার্থীদের নিয়ে জেলা নেতাদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ও জেলা নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়, সিপিআইয়ের রাজ্য নেতা আরসি সিং, আরএসপির আশীষ বাগ, আইএসএফ নেতা তথা আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী মহঃ মুস্তাকিম সিদ্দিকী, জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দূর্গাপুরের প্রার্থী দেবেশ চক্রবর্তী ও আইএনটিইউসির রাজ্য নেতা হরজিৎ সিং উপস্থিত ছিলেন।




পরে গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আলোচনা করে ঠিক হয়েছে আসানসোলের সাতটি বিধান সভার সাতজন প্রার্থী আগামী ১ এপ্রিল সকাল সাড়ে নয়টায় বিএনআরে জমায়েত করবেন৷ সেখান থেকে সকলে মিলে এক সঙ্গে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়া হবে। আগামী ৩ এপ্রিল দুর্গাপুরে জোটের প্রার্থীরা একসঙ্গে একই সময় মনোনয়ন জমা দেবেন। এতে সব দলের নেতারা ঐক্যমত হয়েছেন। এছাড়াও বৈঠকে ঠিক হয়েছে প্রতিটি জনসভায় প্রত্যেক দলের মধ্যেই পরস্পরের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করা হবে। সর্বশক্তি দিয়ে জোটের প্রার্থীদের জেতাতে হবে।
আসানসোল উত্তর বিধান সভার আইএসএফ প্রার্থী মহঃ মুস্তাকিম ও সিপিএমের জেলা নেতা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, বুধবার রাতে আসানসোলের রেলপারের বাবুয়া তলায় সিপিএমের যুব সংগঠনের অফিস তথা নির্বাচনী কার্যালয়ে আচমকা তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতিরা ঢুকে এক কর্মীকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমরা বিষয়টি রাতেই নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি দোষীদের গ্রেপ্তার না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে দুই নেতা জানিয়েছেন।
সিপিআইয়ের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আরসি সিং বলেন, কেন্দ্র সরকার একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বন্ধ করছে, নয়তো বা বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে। কয়লাখনি বন্ধ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, আসানসোল উত্তর বিধান সভা কেন্দ্রে আইএসএফ প্রার্থীকে যতটা সম্ভব প্রচারে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তবে কিছু কিছু কংগ্রেসের নেতা তার বিরোধিতা করে যে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর কথা বলছেন এটা আজ নতুন নয়। এটা কংগ্রেসের চিরকালই ছিল। টিকিট না পেলে ক্ষোভ তৈরি হয়। ধীরে ধীরে তা মিটে যাবে।