ASANSOLBengali NewsPOLL 2021

জেলা প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগ

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : শুধু ভোট দেওয়ার সুবিধা করে দেওয়া নয় সেই সঙ্গে একজন বিশেস সহায়তা প্রাপ্ত ভোটারকে তার শংসাপত্র সরকারিভাবে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষা করে তার হাতে পৌঁছে দেওয়ার অভিনব কাজ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে করল আসানসোল জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারীক থেকে চিকিৎসকরা।

শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা এবার ইচ্ছে করলেই বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন

যেকোনো ধরনের শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা এবার ইচ্ছে করলেই বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারবেন। সেজন্য অবশ্যই তাদের কাছে প্রতিবন্ধী রূপে একটি শংসাপত্র থাকতে হবে ।পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনো পর্যন্ত এমন ভোটারের সংখ্যা পনেরো হাজারের কিছু বেশি। তবে এদের মধ্যে বেশকিছু ভোটারের কোন শংসাপত্র নেই। বাড়ি বাড়ি বুথ লেভেল অফিসাররা গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানার পর বিধানসভা ভিত্তিক একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের জেলা  আধিকারিক এবং জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির নির্দেশেই আসানসোল মহকুমার বাহাদুরপুর অকালপৌষ কেলেজোড়া বরাকর সহ বিভিন্ন ব্লকের ছটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছয়জন চিকিৎসকের মেডিকেল বোর্ড সেখানে গিয়ে গিয়ে প্রায় হাজার খানিক প্রতিবন্ধী ভোটারদের চিহ্নিত করে সরকারি শংসাপত্র দিয়েছে।

এই মেডিকেল বোর্ডে থাকা অর্থোপেডিক বা অস্থি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নির্ঝর মাঝি বলেন এই কাজটা করে আমরাও খুশি। এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস বলেন আমরা এমনিতেই জেলা হাসপাতালে মাসে মাসে একটি করে এই ধরনের ওদের জন্য মেডিকেল বোর্ড  করে থাকি। তাতে অবশ্য ৫০ জন মত  আবেদনকারী থাকেন । কেবলমাত্র  শারীরিকভাবে অক্ষম যে  ভোটারদের শংসাপত্র নেই তাদের নিয়ে এমন ছটা শিবির মাত্র ১৮ দিনে  বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

 চল্লিশ শতাংশের বেশি  ওই শংসাপত্রের শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে যাদের চিহ্নিত করা হবে তারা এই শংসাপত্র দিয়েই মানবিক প্রকল্পে আবেদন করলে আগামী দিনে পেনশন পাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেজন্যেই অনেকে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছে এই শিবিরগুলোতে যেতে বলে এক সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও  আবেদনকারীরাও জানান। জামুড়িয়ার বাসিন্দা তনময় দাস বলেন আমি আগে একবারজেলা হাসপাতালে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস পর আমার ডেট পেয়েছিলাম। সেদিন আমি যেতে না পারায় কাজটা হয়নি। এবার সেই সুযোগটা পেলাম ।সেজন্য নির্বাচন কমিশন এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *