জেলার মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণতম ভোটার ভোট দিলেন
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : আসানসোল মহকুমার সবচেয়ে প্রবীণ ভোটার টগর বালা ধর বুধবার বাড়িতে বসেই কমিশনের সমস্ত নিয়ম মেনে ভোট দিলেন। ১০৩ বছর বয়স্ক টগর দেবী শুধু আসানসোল নয় এই জেলার মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণতম বলে জানা গেছে। তিনি উত্তর আসানসোল কেন্দ্রের ২৬৩ পার্টের ভোটার বলে জানা গেছে। তার বাড়ি আসানসোলের দোমোহানি রেল কলোনির কাছে মিস্ত্রীপাড়াতে।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/04/IMG-20210422-WA0314.jpg?resize=231%2C500&ssl=1)
আগে থেকেই বলা ছিল এই বৃদ্ধার কাছে উত্তর আসানসোলের ওই অঞ্চলের সেক্টর অফিসার সুব্রত মন্ডল সহ ভোট কর্মীরা এবং নিরাপত্তা কর্মীরা পৌছে যাবেন বুধবার সকাল দশটায়। সেইমতো তারা পৌঁছেও যান। আসানসোলের মহকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঁজা এই প্রবীণতম ভোটারকে সম্মান দেওয়ার জন্য সেক্টর অফিসার সুব্রত মন্ডল এর হাতে পুষ্পস্তবক, মিষ্টির প্যাকেট এবং একটি শাড়ি পাঠান।
সুব্রত বাবু মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে সেগুলি ওনার হাতে তুলে দেন। তখন উনি জিজ্ঞাসা করেন এসব কেন ।এর উত্তরে সুব্রত বাবু বলেন আপনি আমাদের প্রবীণতম ভোটার। আপনি এই বয়সে ভোট দিয়ে আরো অন্যান্য মানুষকে ভোটদানের জন্য উৎসাহিত ও সচেতন করছেন ,তাই আপনাকে সম্মান জানাতেই মহকুমা শাসক এগুলো পাঠিয়েছেন। এরপর সমস্ত রকম নিয়ম মেনে তিনি ভোট দেন।
তার পুত্রবধু সুমিত্রা ধর বলেন আমার শশুর মশাই প্রায় ২৩ বছর আগে মারা গেছেন ।তিনি রেল কর্মী ছিলেন।শাশুড়ি মা বাইরে একেবারেই বেরোতে পারেন না। তার ১০৬ বছর বয়স ।ঘরের মধ্যে তিনি দু-এক মিনিট লাঠি হাতে একটু চলাফেরা করেন। বাড়িতে বসে এভাবে ভোট দানের ব্যবস্থা হয়েছে তার জন্য উনি ওনাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান। এর আগে তাকে আমরা নিয়ে যেতাম সামনের অরুণোদয় স্কুলে ভোট দেওয়ার জন্য। মহকুমা শাসক এর পক্ষ থেকে তাকে ফুল-মিষ্টি এবং একটি শাড়ি উপহার দেয়া হয়।
মহকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঁজা বলেন আমাদের ঐ বিধান সভা কেন্দ্রে ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে মাত্র তিন জন ভোটার ছিলেন ।তার মধ্যে একজন মারা গেছেন। একজন প্রচন্ড অসুস্থ। ভোট দিতে পারছেন না ।আর সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মহিলা টগর বালা ধর ।তাই উনাকে আমরা সম্মান জানাতে পারলাম ভোটদানের জন্য ।এটা ভেবে আমরাও খুশি। উনাকে দেখে আরো বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ভোটদানে উৎসাহিত হবেন বলে মনে করি।