তিন দিনের জন্য শিল্পাঞ্চলের বড় বাস এবং মিনিবাস বন্ধ রাখার ঘোষণা
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল : শিল্পাঞ্চল সহ সারা রাজ্যে ব্যাপক হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে তিন দিনের জন্য আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বড় বাস এবং মিনিবাস গুলি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলেন দুই বাসের মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার তারা জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের কাছে এবং আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আসানসোলের মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন এই অঞ্চলে তাদের প্রায় চারশ মিনিবাস চলে। কিন্তু যে হারে করোনা আসানসোল সহ জেলা এবং রাজ্যজুড়ে বেড়ে চলেছে তাতে শুধু যাত্রী নয় বাসকর্মীদের কথা ভেবেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিলাম। আগামী পহেলা মে থেকে তেসরা মে পর্যন্ত মিনি বাস চলাচল বন্ধ রাখব বলে সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো । সেই সিদ্ধান্তের কথা প্রশাসন কেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে বড় বাস মালিক সংগঠনের আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় বলেন যাত্রী এবং কর্মীরা বেঁচে থাকলে তবেই তো বাস চালানো যাবে। সর্বোপরি বাসে যাত্রী সংখ্যা কমেছে করোনার আতঙ্কে। প্রত্যেকদিনই আমরা শিল্পাঞ্চলে কারোর না কারোর মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। একইসঙ্গে আক্রান্তের হার ভয়ংকর ভাবে বেড়ে গেছে। বহুবার মানুষকে বলেও দেখা যাচ্ছে বাসে যারা উঠছেন তারা সকলে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। কর্মীদের এই জন্য অসুবিধা হচ্ছে।
এই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই আমরা আপাতত তিন দিনের জন্য জেলার প্রায় সাড়ে তিনশো বড় বাস বন্ধ করলাম। এতে শুধু আসানসোল-দুর্গাপুর বা স্থানীয় বাস নয়, দূরপাল্লার বাস যা চলে সব বন্ধ থাকবে ।তেসরা মে আমরা আবার নিজেরা মিনিবাস এসোসিয়েশনের মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসবো ।সেখানে যদি দেখি করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাহলে আমরা আলোচনা করে আমাদের এই বন্ধের দিনগুলোর সংখ্যা হয়তো আরও বাড়াতে পারি।
অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তে বাসকর্মীদের একটি বড় অংশ তারা অত্যন্ত খুশি। তারা জানান সদ্য সদ্য আমরা বেশিরভাগ বাস কর্মীরাই ভোটের ডিউটি করে ফিরেছি। ১ লা মে এমনিতেই ছুটির দিন। দ্বিতীয়তঃ ২ রা মে ভোট গণনার দিন। সেদিন সাধারণ মানুষ রাস্তায় খুব কমই বেরোবেন। স্বাভাবিকভাবেই এই তিনদিন বন্ধ হলে মানুষরা হয়তো ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকবেন এতে কিছুটা হলেও যদি করোনার আক্রমণ কমে। আমরাও কিছুটা বিশ্রাম পাবো।