ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

৩১ হাজারের গন্ডি পার, করোনায় দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই, ৪ জনের মৃত্যু গত ২৪ ঘন্টায়

অসচেতনতার ছবি আসানসোল বাজারে / মাস্কহীন মানুষের লাগামছাড়া ভিড়

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩ মেঃ কোনমতেই লাগাম পড়ানো যাচ্ছেনা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনায় আক্রান্তর সংখ্যা সোমবার ৩১ হাজারের গন্ডি পার করে গেলো। দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা হাজার ছুঁই ছুঁই। জেলায় এই মুহুর্তে এ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬, ৮৩৫ জন। জেলায় এখনো পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২০২ জনের।


অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রূপনারায়নপুরের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন সেন্ট যোশেফ কনভেন্ট স্কুলের কর্মী রাকেশ প্রসাদ। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি এই স্কুলের সিবিএসই বিভাগের একাউন্টেন্ট ছিলেন। পদে তিনি একাউন্টেন্ট হলেও এক কথায় তিনি ছিলেন এই স্কুলের প্রাণ। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা আছে।


জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল রাতে রাকেশ প্রসাদকে দূর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছিলো শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে। সেখান থেকে ফোনে তিনি স্কুলের অন্যান্যদের জানাতেন কিভাবে পাশের বেডের কেউ কেউ হঠাৎ করে প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি কখনো ভেঙে পড়েননি। তিনি অবশ্য নিজে বড় রকম কোনো অসুবিধার অনুভব করেননি। কিন্তু সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা কালিন রবিবার সকালের পরে তার অক্সিজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক কমে যায়। চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টাকে বিফল করে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তার মৃত্যু হয় ।


এমন পরিস্থিতির পরেও আসানসোল শহরে বিশেষ করে জিটি রোড লাগোয়া বাজারে সোমবারেও অসচেতনতার ছবি দেখা গেলো। বাজারে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। অনেকের থাকলেও তা ঝুলছে কানে ও থুতনিতে। সামাজিক দূরত্ব বা সোশাল ডিস্টেন্সের কথা কেউ যে জানে, তা এদিনের বাজার ছবি দেখে বোঝা মুশকিল। তবে আসানসোল বাজারের মতো ছবি যে সব জায়গায় দেখা যাচ্ছে, এমনটা নয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশ থাকায় বাজার হাট ও বড় দোকান মল সারাদিনে ৫ ঘন্টা খুলছে। বেশকিছু জিনিসের ছাড় দেওয়ায় পাড়ায় পাড়ায় সেইসব দোকান খুলছে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলে গত ১ মে থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাতায়াতে কিছুটা লাগাম রয়েছে।
পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ও করোনা বিধি মেনে চলতে বারবার বলা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *