ASANSOLASANSOL-BURNPURBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali NewsCOVID 19KULTI-BARAKAR

বার্ণপুর ইস্কো কারখানার আধিকারিকের সহ দুজনের মৃত্যু, ভ্যাকসিন অমিল

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩৫ হাজার ছুঁই ছুঁই

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ৭মেঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো বার্নপুরের ইস্কো কারখানার মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার (ইনচার্জ) সত্যজিৎ জেনার। এই ইস্কো কারখানার সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপের কর্মী রবিকান্ত কুমারের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। দুজনেই মারা যান বৃহস্পতিবার রাতে। সত্যজিৎ জেনা দূর্গাপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান বলে কারখানা সূত্রে জানা গেছে ।

File photo


অন্যদিকে চিত্তরঞ্জনের রাজ্য সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা সুমিতা বেজ (৫৭) করোনা আক্রান্ত হয়ে চিত্তরঞ্জন রেল হাসপাতালের বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মারা যান। তার স্বামী করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন রেল হাসপাতালে। তিনিও রেলের কর্মী।


ইস্কো কারখানার দুজনের মৃত্যুর খবরের পরে সংস্থার হাসপাতালে গত চারদিন ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ থাকায় কর্মী ও তাদের পরিবারের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এদিন ইস্কো হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা গেছে , হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ৬৪ জন ভর্তি আছেন। ৩৫০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ও ২৫ জন সেফহোমে রাখা হয়েছে। ইস্কো হাসপাতাল কতৃপক্ষ পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ভ্যাকসিন পায়। তাই গত চারদিন ধরে সেই ভ্যাকসিন না মেলায় ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ ভ্যাকসিন দিতে পারছেনা। ইস্কো কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গেছে, কারখানার কর্মী ও তাদের পরিবার সহ সব মিলিয়ে প্রায় ৭৬ হাজার ভ্যাকসিন ডোজ তাদের প্রয়োজন। কতৃপক্ষ স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সেলের কাছে তা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে।


অন্যদিকে চিত্তরঞ্জনের এনএফআইআরের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যেহেতু গড়ে প্রতিদিন পাঁচজন করে রেল শহরে মারা যাচ্ছেন করোনা আক্রান্ত হয়ে, তাই রেলের কর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য প্রায় ৬০ হাজার ভ্যাকসিন স্টাফ বেনিফিট ফান্ডের টাকা দিয়ে কেনার ব্যবস্থা করদ হোক। একই সঙ্গে সিটুর পক্ষ থেকেও রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষকে করোনা মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।


ইতিমধ্যেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ, কারখানায় ৫০% কর্মী দিয়ে কাজ করার নির্দেশ জারি করেছে। আসানসোলের আইএমএ বা ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের শাখার পক্ষ থেকে ১৪ জন চিকিৎসক শিল্পাঞ্চলের মানুষদের এই করোনা আবহে টেলিমেডিসিনের সাহায্য করবেন বলে জেলাশাসককে জানিয়েছে। সেই তালিকাটি জেলা প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষদের জানানো হয়েছে। এতে কিছু মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে ।


এদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৮৪২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪, ৫০৫ জন। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১২। জেলায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৬৮৭৩ বলে স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়েছে।

Leave a Reply