Bengali NewsLatestWest Bengal

Narada Case : জামিন পেলেন তিন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ও কোলকাতার প্রাক্তন মেয়র

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : নারদ মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন তিন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ও কোলকাতার প্রাক্তন মেয়র ।
সকালেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। বিকেল গড়াতেই সন্ধের দিকে জামিন ফিরহাদ-সুব্রত-শোভন-মদনের। তাঁদের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল নগর দায়রা আদালতের বিশেষ আদালত। প্রাথমিকভাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী জানান, সম্ভবত ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন চারজন। পুরো রায়ের কপি পুরো বিষয়টা বলা যাবে।

এদিন সকালে রাজ্যের ২ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তাঁদের ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়ে আবেদন জানায় আদালতে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, এই চারজন অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে সাক্ষ্যপ্রমান লুঠ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। প্রায় আড়াই ঘণ্টা রায়দান স্থগিত রাখার পর শেষ পর্যন্ত জামিন পান চার হেভিওয়েট নেতা। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
যদিও সূত্র মারফত খবর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যেতে পারে সিবিআই।

বস্তুত উল্লেখ্য,
সোমবার সকালে গ্রেফতারির পর দুপুরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে চারজনকে আদালতে পেশ করেন তদন্তকারীরা। এর পর ধৃতদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানান তাঁরা। তখনই আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, তদন্ত শেষ হয়ে গেলে কেন জেল হেফাজতে পাঠানোর দরকার অভিযুক্তদের।
সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে ধৃত ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পেশ করে সিবিআই।
ধৃতদের জেল হেফাজত চেয়ে আবেদন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। পালটা ধৃতদের তরফে প্রশ্ন করা হয়, তদন্ত শেষ হলেই পেশ করা হয় চার্জশিট। তাহলে এখন অভিযুক্তদের কী কারণে জেল হেফাজত দরকার? সিবিআইয়ের আইনজীবীকে একই প্রশ্ন করেন বিচারক।

সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ধৃতরা প্রত্যেকেই প্রভাবশালী। তাদের জেল হেফাজতে না রাখলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে তারা। তাই জেল হেফাজত চেয়েছে তারা।
এদিন অনলাইনে নারদকাণ্ডে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। ধৃতদের পক্ষে আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, কলকাতায় করোনা মোকাবিলার কাণ্ডারি ফিরহাদ হাকিম। তিনি করোনা থেকে সদ্য সেরে উঠেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর বয়স ৭৫ ছুঁই ছুঁই। এই পরিস্থিতিতে তাদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। দুপক্ষের সওয়াল শোনার পর কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখে আদলত। সন্ধের দিকেই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হয় ৪ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার।

সূত্র অনুসারে, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে সিবিআই।

Leave a Reply