RANIGANJ-JAMURIA

রাণীগঞ্জ গার্লস কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পক্ষ থেকে মানবাধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন “শীর্ষক ওয়েবিনার

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য । আসানসোল। অপুলা খাতুন, ছাত্রী, রানিগঞ্জ গার্লস কলেজে থেকে  প্রশ্ন করল কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয়ের মহামান্য বিচারপতির কাছে ” সমান অধিকারের কথা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও একজন নারী বিবাহের নূন্যতম বয়স ১৮ বছর এবং একজন পুরুষের নূন্যতম বয়স ২১ বছর কেন হয়েছে ? কলেজ ছাত্রী সৌমি চ্যাটার্জির প্রশ্ন  “লকডাউনে বাড়ির অভিভাবকরা কাজ হারিয়ে বাড়িতে থাকার কারণে অভাবের তাড়নায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন। বাড়ির মহিলা সদস্যদের  ওপর অত্যাচার বাড়ছে। এর প্রতিকার কোথায়  ? “

আর এক ছাত্রী প্রশ্ন তুললেন ভাই-বোন এর মধ্যে পরিবারের সুযোগ-সুবিধা বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয় কেন ? আরেকজন কলেজছাত্রী প্রশ্ন তুললেন জনসংখ্যার নিরিখে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কমছে। কয়েক বছর আগে যেখানে এক হাজার পুরুষের তুলনায় ৯২৭  জন নারী ছিল এখন তা কমে ৯১৪ তে নেমেছে ।এটা কি সামাজিক  বৈষম্যের কারণে ঘটছে? 

 এ ভাবে একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয় মাননীয় বিচারপতি শাহীদুল্লাহ মুন্সি মহাশয়  “মানবাধিকার ও নারীর ক্ষমতায়ন “শীর্ষক অনলাইন ওয়েবিনার এ।

রাণীগঞ্জ গার্লস কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পক্ষ থেকে শনিবার এই ওয়েবিনার  আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয় মহামান্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং কলকাতা উচ্চ ন্যায়ালয় সদ্য প্রাক্তন মহামান্য বিচারপতি শাহীদুল্লাহ মুন্সি।

 গার্হস্থ্য হিংসা ,কন্যা ভ্রুণ হত্যা সাইবার ক্রাইম , ইভটিজিং, কর্মক্ষেত্রে নারীর যৌন হেনস্থার প্রতিকারে কি আইন বলবৎ আছে এবং  নারীর অধিকার রক্ষায় মহিলা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তারা আলোচনা করেন । বলেন মেয়েদের জন্য বিশেষ করে তাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক আইন এনে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে ।কিন্তু সেইসব প্রকল্পের পূর্ণ সদ্ব্যবহার কোথাও কোথাও সমস্যা তৈরি হয়েছে। আঠারো বছরের বিয়ের বিষয়টি বর্তমানে সর্বোচ্চ আদালতে  বিচারাধীন। 

মাননীয় আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং জেলা র  প্রশাসনিক অধিকর্তারা এই ওয়েবিনারের সাফল্য কামনা করেন। কলেজের পক্ষ থেকে অধ্যাপিকা জ্যোতিকা ওয়াঘলে  স্বাগত ভাষণ দেন এবং আলোচনা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা সুচেতা কুন্ডু।

Leave a Reply