ASANSOLASANSOL-BURNPUR

ভ্যাকসিন দেওয়া ও পানীয়জলের সমস্যা নিয়ে সরব বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মহকুমাশাসককে দিলেন দাবি পত্র

বেঙ্গল মিরর , রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২২ জুলাইঃ করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার পদ্ধতি ও নিজের বিধান সভা কেন্দ্রে বিভিন্ন এলাকায় পানীয়জলের সমস্যা নিয়ে রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এছাড়াও তিনি বৃহস্পতিবার আরো একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে আসানসোলের মহকুমাশাসক অভিজ্ঞান পাঁজার সঙ্গে দেখা করেন। মহকুমাশাসকের হাতে তিনি এদিন একটি দাবি পত্র তুলে দেন। বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে পবন সিং সহ বিজেপি নেতা ও নেত্রীরা ছিলেন।


এদিন বিজেপি বিধায়ক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কোন সিস্টেম নেই। চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোটি কোটি ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছেন। অথচ রাজ্যের মানুষেরা তা পাচ্ছেন না। প্রথম বা দ্বিতীয় কোন ডোজই মানুষেরা পাচ্ছেন না। বলা হচ্ছে অনলাইনে স্লট বুক করতে। কিন্তু তাও পাওয়া যাচ্ছেনা। একটা গ্রামের প্রান্তিক মানুষ কি করে তার স্লট বুক করবে? তার কাছে তো স্মার্ট ফোন নেই। ভ্যাকসিন নিয়ে কোন কিছু পরিষ্কার নয়। তিনি আরো বলেন, রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা নিয়েও সাধারণ মানুষদের চরম হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। ডিলাররা কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

কিন্তু মহকুমাশাসক এদিন আমাকে বলেছেন, ডিলারকে সবকিছু করতে বলা হয়েছে। আমি সাধারণ মানুষদের সেই কথা জানিয়ে দেবো। আমার বিধান সভা কেন্দ্রের অনেক এলাকায় পানীয়জলের চরম সংকট চলছে। নরসিংবাঁধ, ছোটদিঘারী, গুটগুট পাড়া তার মধ্যে রয়েছে। মহকুমাশাসককে আমি এই সমস্যার কথা বলেছি। দিন কয়েক আগে আমি এই পানীয়জলের সমস্যা নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সব কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমি তার চেম্বার থেকে বেরোনোর পরে উনি সাংবাদিকদের বলেন, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ককে এই সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবেনা। এটা রাজ্য সরকার দেখবে।

ভাবুন, আমাকে যে এলাকার বাসিন্দারা ভোট দিয়ে জিতিয়ে বিধায়ক করেছেন, তাদের কথা ভাববো না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান মানেন না। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের মর্যাদা দেননা। সেই ধারায় তার নিচের নেতারাও চলছেন। এছাড়াও আমি বার্ণপুর বাসস্ট্যান্ডের বাইরে বাস দাঁড় করিয়ে রাখা, কেরোসিন তেলে বাস চালানো ও জলের পাইপ বসানোর পরে রাস্তা সারানো না করার বিষয়গুলি মহকুমাশাসকের গোচরে এনেছি। এইসব কিছুর জন্য সাধারণ মানুষেরা সমস্যায় পড়েছেন। মহকুমাশাসক বিষয়গুলি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ককে বলে জানা গেছে।

আসানসোল বাজার অঞ্চলে রাজ্য বিদ্যুৎ বিভাগের মাসে ৩৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি