ASANSOLKULTI-BARAKAR

বন্দী মৃত্যুর ঘটনা, তদন্ত করতে বরাকরে সিআইডির বিশেষ দল

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৩ জুলাইঃ চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা এক যুবকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু ও তার জেরে গত ৬ জুলাই অশান্ত হয়ে উঠেছিলো আসানসোলের কুলটি থানার বরাকর এলাকা । সেই ঘটনায় ৬ জুলাই সকালে অনেকটা নজির বিহীন ভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছিলো বরাকর ফাঁড়ির ইনচার্জ ও কুলটি থানার এক এসআইকে। পরে ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড ও পাঁচ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়। বন্দী মৃত্যুর সেই ঘটনার তদন্তের ভার শেষ পর্যন্ত যায় রাজ্য পুলিশের সিআইডির হাতে।


শুক্রবার আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হওয়া মহঃ আরমান খান ও একই সঙ্গে পুলিশ হেফাজতে গুরুতর জখম হওয়া সনোজ শ্রীবাস্তবের বাড়িতে তদন্ত করতে আসেন সিআইডির এক বিশেষ দল। কলকাতা ভবানীভবন থেকে সিআইডি দলটি আসে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।


তারা এদিন দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেদিন দিনের ঘটনা ও ঠিক কি হয়েছিলো তার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে দুই পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জানতে চান সিআইডির অফিসাররা। তবে তদন্ত প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে চাননি সিআইডির অফিসাররা।
প্রসঙ্গতঃ, বরাকর ফাঁড়ি এলাকায় জুন মাসে বেশ কিছু চুরির ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে একদিনে বিসিসিএলের ১০ টি আবাসনে চুরি হয়। সেই চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৫ জুলাই সোমবার রাতে বরাকরের বাড়ি থেকে মহঃ আরমানকে বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ তুলে আনে।

রাতে তাকে বরাকর ফাঁড়ি থেকে কুলটি থানার লকআপে আনা হয়। পরের দিন ৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে কুলটি থানার লকআপ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় আরমান খানকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেদিন সকালে একই সঙ্গে কুলটি থানার পুলিশ হেফাজতে থাকা সনোজ শ্রীবাস্তবকে জখম অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জানা, শুধু আরমান নয়, চুরির ঘটনায় জেরা করার জন্য বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ সনোজ শ্রীবাস্তব সহ আরো ৪ জনকে বাড়ি থেকে তুলে এনেছিলো। দুই যুবকের পরিবারের তরফে অভিযোগ করে বলা হয়, লকআপে পুলিশ তাদের উপর অত্যাচার করেছে। এরপর অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে বরাকর এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরকে এলাকায় ছুটে যেতে হয়।
এদিন ভবানীভবন থেকে আসা সিআইডি অফিসাররা বরাকর ফাঁড়ি ও কুলটি থানা পরিদর্শন করেন। তারা কুলটি থানা ও বরাকর ফাঁড়ির পুলিশের কাছ থেকেও ঐ দিনের ঘটা ঘটনা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানেন ।

আছড়া স্কুলে ৯৪ জন পড়ুয়া মার্কশীট হাতে না পেয়ে তুমুল বিক্ষোভ স্কুল চত্তরে 


৫ গ্রাম হেরোইন সহ তিনজনকে গ্রেফতার করলো হিরাপুর থানার পুলিশ, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত


আসানসোলের স্কুলে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের, পাস না ফেল, মার্কশীট হাতে পেয়ে চরম বিভ্রান্তি

Leave a Reply