লছিপুরের নিষিদ্ধ পল্লী শতাধিক দোকান সীল করলো পুলিশ, করোনা বিধি ও নাইট কার্ফু ভাঙ্গার অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৭ আগষ্টঃ আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লী থেকে নাবালিকা উদ্ধারের পরে তৎপর পুলিশ। করোনা বিধি শিকেয় তুলে ও নাইট কার্ফু ভাঙ্গার অভিযোগে শনিবার বিকালে লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লীর শতাধিক দোকানে তালা লাগিয়ে সীল করে দিলো নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের দাবি, এইসব দোকানের পেছনে আলাদা করে ঘর ছিলো। সেই ঘরে বাইরে থেকে পাচার করে আনা মেয়েদের লুকিয়ে রাখা হতো। পরে সময় সুযোগে তাদেরকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হতো।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/08/img-20210807-wa0051-780x4057147823502165863117-1.jpg?resize=500%2C260&ssl=1)
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ওয়েষ্ট বেঙ্গল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটসের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী লছিপুরের নিষিদ্ধ পল্লীতে অভিযান চালায়। সেই অভিযানে এক বাংলাদেশী সহ ৪৫ জন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। তারমধ্যে ২০ জন নাবালিকা ছিলো। যাদের পুলিশ সিডবলুসি বা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে হোমে পাঠায়। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনায় মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছিলো। তারমধ্যে 6 জনকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে।
অভিযানের দিন রাতে জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেছিলেন, লকডাউনের নাইট কার্ফু চলছে। তা পরেও এখানে রাত আটটার পরে দোকান খোলা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে, এইসব দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।