BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

সবই  বিক্রি করে দিতে চাইছে  কেন্দ্রীয় সরকার, কৃষি আন্দোলনের সমর্থনে ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক ঃ তপন সেন

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় উৎপাদন বজায় আছে।  এই কারখানাকে চক্রান্ত করে রুগ্ন করে দেওয়ার বা  বেসরকারিকরণের  প্রচেষ্টাও আন্দোলনের মাধ্যমেই রুখে দেওয়ার ডাক দিলেন  সি আই টি ইউ- এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন। দু’দিনব্যাপী চিত্তরঞ্জন রবীন্দ্র মঞ্চে সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়নের ৩৩ তম সম্মেলনে এই বক্তব্য রাখার পাশাপাশি তপনবাবু আরো বলেন – আন্দোলন কখনোই বিফল হয় না।

তিনি বলেন দুর্গাপুরে অ্যালয় স্টিল প্লান্ট বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮০ দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন করছেন কর্মীরা, তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছেন। এর ফলে বেসরকারি কোন সংস্থা এই স্টিল প্ল্যান্টকে নেওয়ার সাহস দেখাতে পারছে না। অন্যদিকে ৯ মাস ধরে চলতে থাকা কৃষক আন্দোলনের উল্লেখ করে তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি আইন পাস করেছে ঠিকই কিন্তু আন্দোলনের তীব্রতায় সেই আইনের খসড়া তৈরি করতে পারছেনা। 

তপনবাবু বলেন কৃষি আন্দোলনের সমর্থনে ২৫ সেপ্টেম্বর যে ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে তাকে সফল করার জন্য সমস্ত স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিআইটিইউ এবং লেবার ইউনিয়নকে দায়িত্ব নিতে হবে। চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা কে কিভাবে শুকনো করা হচ্ছে তার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন শুধু এখানেই নয় সারা দেশের রেল স্টেশন ,ট্রেন সবই  বিক্রি করে দিতে চাইছে  কেন্দ্রীয় সরকার। এর বিরুদ্ধে এই সম্মেলন থেকেই রেল শ্রমিকরা দেশব্যাপী আন্দোলনের পরিকল্পনা নেবে বলে আমার বিশ্বাস।  উদ্বোধনী পর্বে তপন সেন ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিটু নেতা বংশ গোপাল চৌধুরী, অলক ঘোষ প্রমুখ।

এদিন রিটায়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রাক্তন শ্রমিক নেতা নির্মল মুখার্জি তপন সেনের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে। অন্যদিকে এই সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন মজদুর ইউনিয়নের পক্ষে দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, আই এন টি ইউ সি’র পক্ষে নেপাল চক্রবর্তী, ওবিসি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে গোলাপ যাদব, আই আর টি এস ই’র পক্ষে অশোক চৌধুরী, এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের পক্ষে প্রদীপ ব্যানার্জি প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন লেবার ইউনিয়নের সভাপতি আর এস চৌহান। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক রাজিব গুপ্ত নতুন করে আবার নির্বাচিত হওয়ার পর বলেন চিত্তরঞ্জন কে বাঁচানোর জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলবো। সম্মেলনে মোট ৪৯৪ জন প্রতিনিধি যোগদেন। ৭৮ জন কে নিয়ে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।

Leave a Reply