বিজেপির শ্রমিক সংগঠন নেই অথচ চান্দা আদায়, উঠল প্রশ্ন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
ইসিএল ( Eastern Coalfields Limited)-এর সোদপুর এলাকায়, ইসিএল কর্মীদের কাছ থেকে একটি শ্রমিক সংগঠন সদস্যপদ ফি নেওয়ার কথা বলছে। মেম্বারশিপ ফির রশিদ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। যাইহোক, ইসিএল এলাকায় অনেক শ্রমিক সংগঠন আছে, যারা তাদের সদস্যদের কাছ থেকে মেম্বারশিপ ফি সংগ্রহ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে একটি ভিন্ন সত্য সামনে এসেছে। উল্লেখনীয় বিষয়, বর্তমান সময়ে কোলিয়ারি রিপাবলিকান মজদুর সভা নামে একটি শ্রমিক সংগঠন ইসিএল -এর সোদপুর কোলিয়ারি এলাকায় সক্রিয়। যার রশিদে “ভারতীয় জনতা মজদুর মঞ্চ” কর্তৃক ‘অনুমোদিত( Affiliated) লেখা আছে। এই রশিদের মাধ্যমে ECL কর্মীদের কাছ থেকে মেম্বারশিপ ফি নেওয়া হচ্ছে। এর সাথে রশিদের গায়েও পদ্মফুলের ছবিও দেওয়া আছে। ফলে মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছেন যে এই সংগঠনটি বিজেপির।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/08/img-20210830-wa00404717635731689629716.jpg?resize=500%2C361&ssl=1)
কিন্তু তথ্য অনুযায়ী, বিজেপির কোনও শ্রমিক সংগঠন নেই, যদিও বিজেপি ভারতীয় মজদুর সংঘকে সমর্থন করে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির কুলটি বিধায়ক ড: অজয় পোদ্দারের কাছ থেকে তথ্য যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে শুধুমাত্র বিএমএস বিজেপি দ্বারা সমর্থিত, এর বাইরে, বিজেপির কোন শ্রমিক সংগঠনের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। বিএমএস -এর নেতারাও “ভারতীয় জনতা মজদুর মঞ্চ” কে সমর্থন করতে অস্বীকার করেন।
বিজেপি কুলটি মণ্ডল এর সভাপতি অমিত গড়াই বলেন, এই ধরনের শ্রমিক সংগঠন সম্পর্কে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি বলেন যে পদ্মের ছাপ বিজেপির প্রতীক এবং যদি কেউ এর অপব্যবহার করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অমিত গড়াই আরো বলেন, বিজেপির কোনো শ্রমিক সংগঠন নেই। কেউ যদি এভাবে রশিদ প্রিন্ট করে মেম্বারশিপ ফি নিচ্ছেন, তাহলে সেটা অন্যায়, এটা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হবে। তিনি বলেন যে বিজেপি বিএমএসকে সমর্থন করে এবং বিএমএস নিজেই একটি সক্রিয় শ্রমিক সংগঠন ইসিএল এ।
কিন্তু ভারতীয় জনতা মজদুর মঞ্চের সাথে বিজেপির কোন সম্পর্ক নেই। এটি তদন্তের বিষয় এবং দেখতে হবে বিজেপির কিছু লোক বা তৃণমূলের লোকজন বিজেপিকে বদনাম করার জন্য কোন ষড়যন্ত্র করছে কিনা।
কারণ নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপি সরকার গঠিত হবে বলে মনে হয়েছিল। অনেক বহিরাগত মানুষ বেঁচে থাকার জন্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে যদি কোনও বিজেপি নেতা এর সাথে জড়িত থাকে তবে তাকে অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
যদি সূত্রের তথ্যের ওপর বিশ্বাস করা যায়, যারা এই রশিদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলে সন্দেহ তাদের বিজেপির কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে, পাশাপাশি বিজেপির কুলটি বিধায়কের সাথেও এই সমস্ত ব্যক্তিকে বহুবার দেখা গেছে। যদি বিজেপির কোন শ্রমিক সংগঠন না থাকে তাহলে কারা কি উদ্দেশ্য নিয়ে রশিদে পদ্মফুলের ছবি ছাপিয়ে এভাবে ব্যবহার করছে সেটাই সবচাইতে বড় প্রশ্নচিহ্ন।