Double Murder ধৃতকে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলো হিরাপুর থানার পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ আসানসোলে মাকে চৌবাচ্চার জলে চুবিয়ে ও ভাইকে গলা কেটে খুনের তিনদিন পরে রবিবার সেই ঘটনার ” রিকনস্ট্রাকশন ” বা ” পুনর্নির্মাণ ” করলো হিরাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সঙ্গে করে নিয়ে যায় ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে হিরাপুর পুলিশে সাতদিনের রিমান্ডে থাকা আনোয়ার আলম ওরফে পাপ্পু।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![ঘটনার পুনর্নির্মাণ](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/09/img-20210919-wa00363045594499517515380.jpg?resize=500%2C409&ssl=1)
প্রসঙ্গতঃ, গত বৃহস্পতিবার বিকালে আসানসোলের হিরাপুর থানার ইসমাইলের আজাদনগরের বাসিন্দা ৬৫ বছরের বৃদ্ধা মা আখতারি খাতুন ও ৩৫ বছরের ভাই আফতাব আলমকে নৃশংসভাবে খুন করে আনোয়ার আলম ওরফে পাপ্পু। পরে সে হিরাপুর থানার গিয়ে গোটা ঘটনার কথা বলে আত্মসমর্পণ করে। প্রথমে তার কথা শুনে থানার পুলিশ কর্মীরা হতবাক হয়ে যান। পরে এলাকা থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাপ্পুর কথা মতো তার মা ও ভাইয়ের দেহ উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ তাকে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিন সকালে হিরাপুর থানার পুলিশ পাপ্পু নিয়ে আজাদনগরে যে বাড়িতে সে মা ও ভাইকে খুন করেছিলো, সেখানে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন কি ভাবে সে এসেছিলো, কোথায় কিভাবে মাকে প্রথমে জলে চুবিয়ে ও পরে ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে তা পাপ্পু করে দেখায়। এদিন পাপ্পু পুলিশকে বলে, সে পরিকল্পনা করেই ফলের বস্তার মধ্যে ধারালো অস্ত্র লুকিয়ে এনেছিলো। পুলিশ ঘটনার পরে চপার জাতীয় সেই অস্ত্র উদ্ধারও করে।
এদিন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাকে নিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, তারজন্য গোটা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাড়ির লোক ছাড়া কাউকে আশপাশে ঘেঁষতে দেওয়া হয় নি।
উল্লেখ্য, আখতারি খাতুনের ৪ ছেলে। খুন হওয়া আফতাব আলম সহ তিনজন পরিবার নিয়ে মায়ের সঙ্গে আজাদনগরে থাকতো। একমাত্র আনোয়ার আলম ওরফে পাপ্পু আসানসোল উত্তর থানার রেলপারে রিলায়েন্স মার্কেট লাগোয়া ঝোপড়পট্টিতে থাকতো।
প্রথমে পুলিশকে আখতারি খাতুনের অন্য ছেলেরা বলেছিলো, তাদের একটা জমি ছিলো। মা সেই জমি বিক্রি করে তার টাকা চার ছেলেকে সমানভাগে ভাগ করে দেয়। তা নিয়েই পাপ্পু অসন্তুষ্ট হয়ে এই কাজ করেছে। যদিও, পাপ্পু নিজে পুলিশকে বলে, তার কাছ থেকে ভাই আফতাব আলম মাস কয়েক আগে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলো। সে ঐ টাকা অন্য কয়েকজনের কাছ থেকে চেয়ে ভাইকে দিয়েছিলো। কিন্তু সেই টাকা বারবার চাইলেও আফতাব দিচ্ছিলো না। এমনকি মা ভাইকে সাপোর্ট করছিলো। যা সে মেনে নিতে না পেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও, পাপ্পুর টাকা পাওয়ার কথা বাড়ির লোকেরা মানতে চায়নি। পুলিশ এখন কি কারণে পাপ্পু একসঙ্গে মা ও ভাইকে খুন করলো, তার আসল কারণ খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে।