আসানসোল বাজারে পাখির বাসার মত অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। আসানসোল বাজারে মধ্যে পাখির বাসার মত যেভাবে অবৈধ বিদ্যুৎ তার দিয়ে সংযোগ করা আছে তাতেই যে কোনদিন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। মানুষের মৃত্যু হতে পারে। বাজারে আবারও আগুন লাগতে পারে। শুধু তাই নয় জিটি রোডের দুই পাশে ফুটপাতে অসংখ্য বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যে সব দোকান গুলির উপর প্লাস্টিক লাগানো আছে সেগুলি বিপদজনক অবস্থায় আছে ।সম্প্রতি গভীর রাতে এমন পরপর দুটি দুর্ঘটনা ঘন্টায় বাজার এলাকায় ঘটে। দোকানগুলোর ক্ষতি হলেও মানুষের ক্ষতি হয়নি।




অন্যদিকে উত্তর আসানসোলের ঝিংরি মহল্লা,কসাই মহল্লা সহ বেশকিছু বাড়ির উপর দিয়ে যেভাবে বিদ্যুতের তার গুলি গেছে এবং সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমত না হওয়ায় কোনদিন ছিড়ে পড়লেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে ।সর্বোপরি আসানসোল মহকুমা জুড়ে ভয়ঙ্কর যে বিষয়টি রয়েছে তা হলো একাধিক ছোট-বড় ট্রান্সফর্মার রাস্তার ধারে ধারে একেবারে একটি বাচ্চা ছেলে হাতে লাগার মত অবস্থায় বসানো আছে ।এইসব ট্রান্সফরমারের কি বক্স গুলির অধিকাংশই খোলা আছে।
সেখানে তার গুলিও বাইরে ঝুলে আছে বা নিচে পড়ে আছে। যেকোনো স্কুল ছাত্র ছাত্রী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এই বৃষ্টির মধ্যে হাত দিলেই সাথে সাথেই দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। কয়েকদিন আগেই দেখা গেল আসানসোলে একটি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাড়ির পাশেই পড়ে ।সেখানে সেই মুহূর্তে কেউ না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও যেমন জুবলির কাছাকাছি অথবা বিএনআর মোড়ের কাছে বা হিরাপুরে, সালানপুরে ট্রান্সফরমারের তার গুলি মাটিতে পড়ে আছে বা ড্রেনের জল বা বৃষ্টির জল এসব জায়গা দিয়ে যখন ছুঁয়ে যায় তখন তাও ভয়ঙ্কর আকার নেয়।
রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে আসানসোলের এক আধিকারীক বলেন আমরা বাজারে এর আগেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন করেছিলাম। কিন্তু সম্পূর্ণ পরিবর্তন করা যায়নি নানান কারণে।ফুটপাথে আমরা অবৈধ সংযোগ কেটে দিয়েছিলাম। আবার নতুন করে চালু হয়েছে। ট্রান্সফরমারের কিবক্স যেসব খোলা আছে তাও আমরা অবিলম্বে বন্ধ করার চেষ্টা করব দুর্ঘটনা এড়াতে।