ASANSOL

উত্তরাখন্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়লো গাড়ি, আসানসোলের পর্যটকদের দল, ৫ জনের মৃত্যু

রানিগঞ্জের ২, দুর্গাপুরের ২ ও আসানসোলের একজনের মৃত্যু গুরুতর জখম ৭

বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়/চরণ মুখার্জি / সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত , আসানসোল, ২৭ অক্টোবরঃ উত্তরাখন্ডের দেরাদুনে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলে পড়লেন একদল বাঙালি পর্যটক। আসানসোল ও রানিগঞ্জের মোট ৩০ জন ঐ দলে ছিলো। তারমধ্যে ১২ জন পর্যটক নিয়ে থাকা একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কৌশানি যাওয়ার রাস্তায় কাপকোট থানার শ্যামা গ্রামের কাছে খাদে একটি গাড়ি উল্টে যায়। সেই ঘটনায় ঐ গাড়িতে থাকা ৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় বাঘেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরো ৭ জন। আসানসোলের মহিশীলা কলোনির যে পর্যটন সংস্থা এই দলকে উত্তরাখণ্ডে নিয়ে গেছিলো তার মালিক নীলকন্ঠ চট্টোপাধ্যায়ক আটক করেছে কাপকোট থানার পুলিশ ।

5 पर्यटकों की मौत


জানা গেছে , লক্ষী পুজোর পরের দিন গত ২১ অক্টোবর আসানসোল থেকে দেরাদুনে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৩০ জনের একটি দল। বুধবার তারা মুন্সিয়ান থেকে সড়কপথে কৌশানির দিকে যাচ্ছিলেন। তিনটি গাড়িতে ছিলেন পর্যটকরা। কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? তার মধ্যে একটি গাড়িতে ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সহকারী সুপার কঙ্কন রায়। ফোনে জানালেন, ‘শ্যামা গ্রামে ব্রিজ পেরোনোর পর পেছন থেকে একটি গাড়ি আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। কোনওমতে সেই ধাক্কা সামলে নেন আমাদের গাড়ির চালক। গাড়ি থেকে নেমে দেখি, পেছনে গাড়িটা রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেছে। ঐ গাড়িতে ১২ জন ছিলেন। খাদে নেমে ৬-৭ জন উদ্ধার করেন কঙ্কন রায় ও তাঁর সঙ্গীরা।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় পুলিস ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি থেকে সকলকে উদ্ধার করা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে দ্রুত তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কাপকোট হাসপাতালে। শেষ পাওয়া খবর, হাসপাতালে ৫ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। বাকি ৭ জনের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
কাপকোট থানা সূত্রে জানা গেছে, তিনটি টেম্পো ট্রাভেলার মুন্সিয়ারি থেকে কৌসানির দিকে যাচ্ছিলো। তারমধ্যে একটি গাড়ি বেশকিছুটা এগিয়ে যায়। একবারে শেষ গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্বিতীয় গাড়িটিকে ধাক্কা মেরে খাদে উল্টে যায়। গুরুতর আহত দুজনকে জেলা হাসপাতালে ও বাকি সাতজনকে কাপকোট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চিকিৎসা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে পাওয়া মৃতদের নাম হলো (১) কিশোর ঘটক (৫৯) শিয়ারসোল, রানিগঞ্জ, আসানসোল (২) শ্রাবণী চক্রবর্তী (৫৫), আসানসোল, (৩) সুব্রত ভট্টাচার্য (৬১) আসানসোল,
( ৪) চন্দনা খান ( ৬৪) টিডিবি কলেজ ক্যাম্পাস রানিগঞ্জ ও (৫) রুনা ভট্টাচার্য (৫৫) আসানসোল। রুনাদেবী সুব্রত ভট্টাচার্যের স্ত্রী।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে মৃত চন্দনা খানের স্বামীও আছেন। আহতরা সবাই রানিগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আসানসোল দক্ষিণ থানা ও রানিগঞ্জ থানার পুলিশের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন দেরাদুনের জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায়, তা আলোচনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পর্যটকদের বাড়ির লোকেরাও চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। তারাও পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে বাড়ির লোকেদের ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেছেন।

Leave a Reply