West Bengal

হিলি – বালুরঘাট রেলপথ সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে গেল হাইকোর্টের নির্দেশে

বেঙ্গল মিরর, কলকাতা , সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : হিলি বালুরঘাট রেলপথ সম্প্রসারণ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আবার দুমাসের জন্য উক্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । দু’মাস আগেও রাজ্য সরকার তাদের বক্তব্য শীঘ্রই জানাবে বলে জানায় হাইকোর্টকে । কিন্তু মঙ্গলবার যখন ওই মামলা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে , তখনই রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী ফের তাঁদের বক্তব্য জানানোর জন্য কিছুদিন সময় দেওয়ার আর্জি জানান ।

যদিও এদিন মামলাকারীর তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী এর বিরোধিতা করে বলেন , আগেও রাজ্য সময় চেয়েছিল, এরপর আবার সময় চাওয়া হচ্ছে ।কিন্তু প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর আর্জিতে সম্মতি দেন ।এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর হিলি বালুরঘাট রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ কেন স্থগিত রয়েছে , সেই ব্যাপারে কেন্দ্র – রাজ্য উভয়কেই হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ ।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হিলি বালুরঘাট রেলপথ সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেন। বালুরঘাটের আত্রেয়ী ও হিলির যমুনা নদীতে রেলপথ সম্প্রসারনের জন্য পিলারও নির্মাণ করা হয়। রেলপথের জন্য ৪১০ একর জমি চিহ্নিতকরণ করা হয়। জমির মূল্য নির্ধারণ করেন আধিকারিকেরা।
সেই জমির ম্যাপ অনুযায়ী , রেলপথ সম্প্রসারণের দিকে লক্ষ্য রেখে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী ও হিলির যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজও শুরু হয় ।


প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ২০১৫,২০১৭ ও ২০১৯ সালে এই বিষয় নিয়ে সংসদে সরব হন। ২০১৭ সালে রেলমন্ত্রক এর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন। কিন্তু প্রকল্পের কোন কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত চলে যায়। কিন্তু এরপর থেকেই দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রকল্প আজও পর্যন্ত অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

Leave a Reply