ASANSOL

আসানসোলের হোটেলে স্বামীর পরকীয়া হাতেনাতে ধরলেন স্ত্রী, অভিযুক্ত মহিলাকে মারতে-মারতে থানায়, ভিডিও ভাইরাল

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৯ ডিসেম্বরঃ স্বামীর পরকীয়া হাতেনাতে ধরে ফেললেন স্ত্রী। তারপর আসানসোলের বার্নপুর রোডে একটি হোটেলের সামনে স্বামীর সঙ্গে থাকা এক মহিলাকে শুরু হলো মার। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।


জানা গেছে, আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্নপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে অন্য এক মহিলা বার্ণপুর রোডের একটি হোটেলের রুমে ছিলেন। স্ত্রীর নজরদারি চালিয়ে স্বামীর কীর্তি ধরে ফেললেন এদিন। এরপর ঐ মহিলাকে মারতে মারতে রাস্তায় টেনে নিয়ে আসেন ব্যক্তির স্ত্রী। শুধু মারধর নয়, রাস্তায় টানতে টানতে মহিলাকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান স্ত্রী।

আর এই ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা বার্ণপুরের রোডের বাসিন্দারা। শুধু তাই নয় ঐ ব্যক্তিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রকাশ্য রাস্তায় কলার ধরে নিয়ে যান ফাঁড়িতে। যদিও এই বিষয়ে দু’পক্ষই ব্যক্তিগত বিষয় বলে ক্যামেরার সামনে ও সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলতে নারাজ। কিন্তু প্রকাশ্যে ঘটা এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও দেখে গোটা ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো গোটা শিল্পাঞ্চল।


ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে, ঐ মহিলার সঙ্গে বার্নপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ঐ ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া বা বিবাহ বহির্ভূত কোন সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর দীর্ঘদিনের অশান্তি ও বিবাদ চলছিল। ভিডিওতে ঐ ব্যক্তির স্ত্রী কথা শুনে মনে হচ্ছে, তিনি এই সম্পর্ক নিয়ে স্বামীকে সতর্ক করতেন। পাশাপাশি স্বামীর উপর নজরদারি করতেন। কিন্তু ঐ ব্যক্তি স্ত্রীর কথা শোনেননি। এদিন শেষ স্ত্রী ওৎ পেতে মহিলার সঙ্গে স্বামীকে হোটেলে এসে ধরে ফেলেন।


আসানসোলের বার্ণপুর রোডের যে হোটেলে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে ঐ মহিলা রুমে ছিলেন সেই হোটেলে কাগজ জমা নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির আধার কার্ডের প্রতিলিপি পাওয়া গেছে। এমনকি ঐ মহিলার পরিচয় পত্র বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি। এইসব নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করলেও, বিস্তারিতভাবে মুখ খুলতে নারাজ হোটেল কর্তৃপক্ষ।


আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জানায়, এক মহিলা ও তার পরিবারের সদস্যরা এক ব্যক্তি এবং অন্য এক মহিলাকে নিয়ে আসেন। গোটা ঘটনা কি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply