ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

জীবিত আছেন এমন দুই ব্যক্তিকে মৃত দেখানোর  অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। জমির মালিকদের মৃত দেখিয়ে তাদের উত্তরাধিকারী হিসেবে ভুও কেউ বিভিন্ন পঞ্চায়েতের নামে ফ্যামিলি চার্ট তৈরি করে তা দিয়েই একের পর এক জমি রেজিস্ট্রি করে নিচ্ছে সালানপুর ব্লকে। আজও জীবিত আছেন এমন দুই ব্যক্তিকে মৃত দেখানোর  দুটি অভিযোগ সালানপুর থানায় জমা পড়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেছে।

একটি ক্ষেত্রে সালানপুরের বি এল আর ও দপ্তর সমস্ত রকম খোঁজখবর করে জীবন্ত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে দিয়ে যে জমি বিক্রি করা হয়েছিল তেমন আল্লাডি অঞ্চলের এক বাসিন্দার জমি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।  তবে সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে সালানপুর ব্লকের ধুন্দাবাদ মৌজার ৭৫ ডেসিমিল জমির মালিক সত্তরোর্ধ্ব শোভা মুখার্জী কে মৃত দেখিয়ে তার একমাত্র নাতি হিসেবে বাঁকুড়ার একজন দাবি করে তার জমিটি বিক্রি করে দিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের এক ব্যক্তির কাছে। সম্প্রতি তিনি তা জানতে পেরে সালানপুর থানায় এসে বৃহস্পতিবার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শোভা দেবী জানান তিনি সম্প্রতি জানতে পারেন যে তাকে মৃত বলে দেখানো হয়েছে এবং তার ৭৫ ডেসিমিল জমি বিক্রি করে রেজিস্ট্রি ডিড হয়ে গেছে। যে বিক্রি করেছে বা যে কিনেছে তাদের তিনি কাউকে চেনেন না । তিনি সমস্ত খোঁজখবর করে তার তথ্য সংগ্রহ করেন এবং বলেন আমি সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলাম। মায়ের সঙ্গে থাকা তার ছেলে ইন্দ্রনীল মুখার্জি বলেন মাকে মৃত বলে সাজিয়ে তার একমাত্র নাতি বলে দাবি করে বাঁকুড়ার ঠিকানায় এক ভদ্রলোক মায়ের নামের জমিটা বিক্রি করে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়েছেন ।অথচ দেখুন আমার মা বেঁচে আছেন ।আমরা পুলিশ অফিসারদের বলেন যারা এসব ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করেছেন এবং যাকে বিক্রি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। এছাড়াও এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য প্রশাসনকে এবং রেজিস্ট্রি দপ্তরকে বিশেষ করে আরো সক্রিয় হওয়া উচিত।

 পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে আল্লাডির বাসিন্দা লক্ষন দত্ত অভিযোগ করেন থানাতে এবং বিএলআরও দপ্তরে যে তাকে মৃত দেখিয়ে তার প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমি বিক্রি হয়েছে। এক্ষেত্রেও বি এল আর দপ্তর পুরো বিষয়টি তদন্ত করে মাত্র কয়েকদিন আগেই লক্ষণ দত্ত কে তার জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তারই নামে।

বি এল আর ও জানান  আদিবাসীদের জমি সহ এগারোটি ক্ষেত্রে  ইতিমধ্যে তারা জমি গুলি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেন । আমি নিজেই এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। তার প্রস্তাব যখন কোনও জমি রেজিস্ট্রি হবে সেটা যদি এই জেলাতেই কেনাবেচার বিষয়  থাকে তাহলে যে প্রধান চার্ট দিচ্ছেন উত্তরাধিকারীদের তাদের কাছে অন্তত ফোনে জেনে নেওয়া উচিত এটা সঠিক না ভুল উত্তরাধিকারী হিসেবে। তাহলে জমি নিয়ে এই ভুও কারবার রোখা সম্ভব হবে।

Leave a Reply