BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

সালানপুরে চলন্ত ডাম্পারে আগুনের ঘটনা, ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ চালকের

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৯ ডিসেম্বরঃ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারলেন। মৃত্যু হলো আগুনে পুড়ে যাওয়া ডাম্পার চালক রঞ্জিত চক্রবর্তীর (৫৮)। রবিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে । মৃত রঞ্জিত চক্রবর্তীর রুপনারায়নপুরের বাড়িতে কান্নার রোল রবিবার দুপুর থেকেই। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার স্টোর থেকে মাল নিয়ে যাওয়ার জন্য যে সব বেসরকারি সংস্থার ট্রাক বা ডাম্পার চলাচল করে সেই রকম একটি ডাম্পারের চালক ছিলেন রূপনারায়ণ পুরের বাসিন্দা রঞ্জিত চক্রবর্তী।

জানা গেছে, তার ছেলে গোপাল চক্রবর্তীও চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। তাদের পরিবারের মূল রোজগারে ছিলেন রঞ্জিতবাবু । তার আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার দুই মেয়ে । রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী স্বামীর মৃত্যুতে কাঁদতে কাঁদতে মাঝেমধ্যেই মূর্ছা যাচ্ছেন। রঞ্জিতবাবুর পরিবারের সদস্যরা বলেন, শনিবার গাড়ির গ্যারেজ থেকে সামান্য কিছু কাজ করিয়ে সালানপুরের জেমারি থেকে ফিরে আসার পথে আল্লাডিতে ডাম্পারের তেলের ট্যাংকে আগুন লেগে গেছিলো। সেই আগুন নেভানোর সময় ট্যাংকে বিস্ফোরণ হয়। তাতেই পুড়ে অগ্নিদগ্ধ হয় চালক রঞ্জিত চক্রবর্তী । অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রঞ্জিতবাবু নিজেকে বাঁচানোর জন্য রাস্তার মধ্যে ছুটতে থাকেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে দেখতে পেয়ে মাটি ও বালি দিয়ে সেই আগুন নেভান। এই ঘটনার শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সালানপুরের পিঠাইকেয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রায় ৯০% পুড়ে যাওয়া রঞ্জিতবাবুকে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সেখান থেকে পাঠানো হয়েছিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সমস্ত চেষ্টা বিফল হয়ে রবিবার তিনি মারা যান বর্ধমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

Leave a Reply