রানীগঞ্জ পুলিশকে নিখোঁজ ছেলের খোঁজ নেওয়ার আর্জি জানালেন বৃদ্ধা মা, ১৪ মাস ধরে স্কুল শিক্ষক নিখোঁজ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ: স্কুল শিক্ষক ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এই দাবি করে পুলিশ প্রশাসনকে নিখোঁজ ছেলের খোঁজ নেওয়ার আর্জি জানালেন বৃদ্ধা মা। মঙ্গলবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধা মা 14 মাস ধরে নিখোঁজ থাকা তার ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য এমনইভাবে দ্বারস্থ হলেন রানীগঞ্জ থানার পুলিশের। সোমবার বেশ কয়েকটি আদিবাসী সংগঠনের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে কুলটির নিয়ামতপুরের সাকিম শীতল ধওড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধা মাহি টুডু নিজের স্কুল শিক্ষক ছেলে রমেশ টুডুর খোঁজে রানীগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হলেন।
বৃদ্ধা ওই মহিলার দাবি দীর্ঘদিন ধরে তার স্কুল শিক্ষক ছেলে গৃহিণীর অত্যাচারের কারনে বাড়ির সদস্যদের ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতেন তাদের বাড়ীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগই রাখতে দেয়নি তার স্ত্রী এ কারণে ছেলের কোন খোঁজখবর তিনি পেতেন না। কিন্তু কয়েকদিন আগেই রানীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ হাই স্কুল থেকে ফোন যায় বিগত প্রায় 14 মাস ধরে স্কুল শিক্ষক রমেশ টুডু স্কুলে আসছেন না, তাই তিনি কি কুলটির বাড়িতে রয়েছেন ? এই প্রশ্ন শোনার পরই তার বৃদ্ধা মা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ছেলের খোঁজ করতে এসে তার বৌমার অভব্য ব্যবহারের শিকার হন। শেষমেষ ছেলের খোঁজ না পেয়ে 23 ডিসেম্বর ছেলের খোঁজে রানীগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর তার স্ত্রী মতামত জানার পরই ব্যবস্থা গ্রহণ হবে বলেই জানান। আর এই বিষয়ে জানার পরই আদিবাসী সমাজের সদস্যদের সাথে বৃদ্ধা মহিলা যোগাযোগ করে তার ছেলেকে খুঁজে দেওয়ার জন্য কাতর অনুরোধ করেন, মঙ্গলবার এই বিষয়ের প্রেক্ষিতে আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা ওই বৃদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রানীগঞ্জ থানায় তার ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে দাবি করেন স্কুলশিক্ষককে তার স্ত্রী শিবানী টুডু বড় ছেলে সির্জন টুডু কে সঙ্গে নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে হত্যা করেছে।
আর এই বিষয়ে জানান দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ওই নিখোঁজ শিক্ষক এর খোঁজ নেওয়ার দাবি করেন। আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা এদিন ওই শিক্ষকের হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কারণ নিয়েও ধোঁয়াশায় রয়েছে তাদের একটাই দাবি যেভাবেই হোক ওই শিক্ষককে সামনে এনে এই ঘটনার নিষ্পত্তি করা হোক।