AMC POLLASANSOL

করোনাকালে কেউ সতর্ক, কেউ বেপরোয়া, রবিবাসরীয় প্রচারে সিপিএম, তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থীরা

রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৯ জানুয়ারিঃ করোনার বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই রবিবাসরীয় প্রচার হল আসানসোল পুরভোটের। এদিন আসানসোল, কুলটি, বার্ণপুর সহ পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি সহ অন্য দলের প্রার্থীরা নিজেদের ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর প্রচার করেন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো ৫ জন করে কর্মী সমর্থক নিয়ে একজন প্রার্থী প্রচারের কথা থাকলেও বাস্তবে দেখা গেল তার থেকে বেশি সংখ্যা নিয়ে চলছে প্রচার অভিযান। তার মধ্যে কর্মীদের অনেকের মুখে আবার মাস্কও নেই। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বও। আবার এও দেখা গেলো ভোটারদের খুব কাছেও চলে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

রবিবাসরীয় প্রচারে


রবিবার আসানসোল শহরে ৪৪ নং ওয়ার্ডে প্রচার করেন আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী পুর বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। এদিন কুলটি পুর এলাকায় নিজের পুরনো ৯৯ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় দলের প্রার্থী বিষ্ণু মাড্ডির হয়ে প্রচার সারেন সিপিএমের প্রিয়ব্রত সরকার। প্রিয়ব্রতবাবু এবার দলের প্রার্থী হয়েছেন ৭৪ নং ওয়ার্ডে। তিনি বিকেলে এই ওয়ার্ডে প্রচার করেন। একইভাবে, কুলটির ১০২ নং ওয়ার্ডে দলের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ আচার্য।
এদিনের প্রচারে অবশ্য সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের করোনা বিধি ও সতর্কতা মেনে চলতে দেখা যায়। সেদিক থেকে অনেকটাই বেপরোয়া ছিলেন বিজেপি প্রার্থী।


নির্বাচন কমিশনের আর্জি রয়েছে অনলাইন বা ডিজিটাল মিডিয়ার প্রচারে গুরুত্ব দিতে। কিন্তু প্রার্থীদের দাবি, আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া। বহু ভোটার এমন আছেন যারা অনলাইন বা ডিজিটাল ব্যবস্থায় নেই। অনেকেই স্মার্ট ফোন নেই। তাই ডিজিটাল প্রচার এখানে সম্ভব নয়।
পাশাপাশি তৃনমুল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করে জানিয়েছেন, করোনার কারণে আগামী দু মাস ভোট না হলেই ভালো। তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সহমত হয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। তবে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর দাবি সবটাই কমিশনের সিদ্ধান্ত।

Leave a Reply