প্রচারের ফাঁকে বিকল্প পাঠশালায় হাজির শিক্ষক নেতা তৃনমুলের প্রার্থী অশোক রুদ্র
সরকারের শিক্ষা নীতি নিয়ে কটাক্ষ অগ্নিমিত্রা পালের
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৮ জানুয়ারিঃ আসানসোল পুরনিগমের ভোট প্রচারেও উঠে এলো স্বাভাবিক পঠন পাঠনের দাবি। করোনার কারণে রাজ্যে স্কুল বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে। পড়ুয়াদের কথা ভেবে করোনা কালের মধ্যেও বিকল্প পাঠশালা চলছে বেশকিছু স্কুলে। সেসব স্কুল চালাচ্ছে শিক্ষক সংগঠনগুলি।
শুক্রবার আসানসোলের বার্ণপুরে ভোটের প্রচারে নেমে এইরকমই এক পাঠশালায় ঢুকে পড়লেন রাজ্য তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র। বার্নপুর লালাবাহাদুর শাস্ত্রী স্কুলের “উদ্যানে পাঠদান” কর্মসূচি হয় এদিন। আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বার্নপুর এলাকার আসানসোল পুরনিগমের ৭৮ নং ওয়ার্ডে এবারে শাসক দলের প্রার্থী অশোক রুদ্র। তিনি দাবি করে বলেন, করোনা কালে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্যে জুড়ে বিকল্প পাঠদান করানো হচ্ছে। কখনও উদ্যানে পাঠদান। কখনও পাড়ায় পাড়ায় স্কুল। পিছিয়ে পড়া এলাকায় সরকারি স্কুলের পাঠরত পড়ুয়াদের এভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পাড়ায় পাঠশালা কর্মসূচি শুরু হবে।
অন্যদিকে আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও ভোট প্রচার করছেন দলের প্রার্থীদের হয়ে। স্কুল খুলে অবিলম্বে পঠনপাঠনের দাবি তুলে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পালদের দেখা যায় বিকাশ ভবন অভিযানে। তাদের সেখানে যেতে পুলিশে বাধার পরে ধুন্ধমার কাণ্ড ঘটে।
সেই প্রসঙ্গে অশোক রুদ্রর কটাক্ষ, করোনা কালে শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি না করে অগ্নিমিত্রা পালদের উচিত গেরুয়া শিবিরের শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের বিকল্প পাঠদানের ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারা তা করেননি। উল্টে সমালোচনা করে নিজেদের আসল চেহারা দেখাচ্ছেন।
অগ্নিমিত্রা পাল শুক্রবার ৫৬ নং ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থীর হয়ে ৮ নং বস্তি গোয়ালা পাড়া এলাকায় প্রচার সারেন। সেই এলাকার বেহাল পুরপরিষেবার অভিযোগ করেন প্রচারে। তবে তিনি নিকাশি, রাস্তা, পানীয় জলের ইস্যুর পাশাপাশি শিক্ষার দাবি নিয়ে তিনি হন। রাজ্যে স্বাভাবিক শিক্ষার দাবি তুলে এদিন তিনি পানশালা নয়, পাঠশালা খোলার দাবি জানান।
এদিন শাসক দলের প্রার্থী অশোক রুদ্র কটাক্ষ করেছেন বিকল্প পাঠদানে কেন এগিয়ে আসছেন না গেরুয়া শিক্ষক সংগঠন ? এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পালের দাবি বিকাশভবনে স্কুল খোলার আবেদন করতে গেছিলাম। তাতেও তো পুলিশি বাধা। পড়ুয়াদের পড়াতে গেলে তো তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে মার খেতে হবে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, ১৪ টি রাজ্যে স্কুল খুলে গেছে। কিন্তু বাংলায় স্কুল খোলার নামে শুধু টালবাহানা চলছে। তার কটাক্ষ বাংলার শিক্ষাকে শেষ করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে দুয়ারে পানশালা খুলেছেন। এদিনের তরজা থেকে একটা পরিষ্কার যে, আসানসোল পুরনিগম ভোটের প্রচারে দেখা গেল, করোনা কালে শিক্ষাকেও নিজেদের মত করে ইস্যু করছে শাসক তৃণমূল থেকে বিরোধী বিজেপি।