ASANSOL

ট্রেনে নতুন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক ” ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম “

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ এখন থেকে ট্রেনে ধূমপান করলে পড়তে হবে বড়সড় বিপদে। ‘নো স্মোকিং’ বোর্ড থাকা ও ধূমপানের জন্য জরিমানা আরোপ করা সত্ত্বেও এখনও যারা ট্রেনে ধূমপানের মতো খারাপ অভ্যাস চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের এই মুহুর্তে এই অভ্যাসটি বন্ধ করতে হবে। কারণ ভারতীয় রেলের তরফে ট্রেনের কামরায় বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ” স্মোক ডিটেক্টর”। এই ডিটেক্টর তাদেরকে এবার ধরে ফেলবে। ভারতীয় রেল ট্রেনের কামরাগুলিতে ” ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন” বা ” এফডিবিএ” সিস্টেম বসিয়েছে। যাতে একটি কামরায় সমস্ত ধরণের ধোঁয়া বা আগুন আটকানো যায়। এমনকি সিস্টেমও সতর্কতা মোডে চলে যাবে, যাতে ট্রেন থামানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্রেক ব্যবহার করা যেতে পারে ।


কি কাজ হবে এই এফডিবিএ বা ফায়ার ডিটেকশন অ্যান্ড ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমের?


জানা গেছে, প্রথমতঃ যে কোনো ধরনের ধোঁয়া বেরোলে (সিগারেট থেকেও হতে পারে) তা স্মোক সেন্সরে ধরা পড়ে যাবে। এছাড়াও যে কোনও ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ প্যানেলে বিশ্লেষণ করা হবে। সেই ধোঁয়ার ঘনত্ব কম হলে কন্ট্রোল প্যানেল অ্যালার্ট দেবে ও লাল বাতি বা আলো জ্বলবে। সেই ধোঁয়া বেরোতে থাকলে কামরার ভেতর লাল বাতি জ্বলবে। এরপর ধোঁয়া আরো বাড়লে থাকলে ব্রেক কাজ শুরু করবে এবং ট্রেন থামবে। এর ঠিক ১ মিনিট বা ৬০ সেকেন্ড পরে একটি ঘোষণা হবে। তাতে বলা হবে, দয়া করে কামরাটি খালি করে দিন। কারণ আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।


তাই, বলা যেতে পারে, এখন এটি একটি নিখুঁত সিস্টেম। যা ট্রেনে আগুন লাগার ঝুঁকি কম করার জন্য বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেনের কামরাগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছে। সমস্ত পাওয়ার ও প্যান্ট্রি কার কোচ (১৩৮ টির মধ্যে ১৩৮ টি) এই ধরনের অগ্নি সনাক্তকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করা হয়েছে। জানা গেছে, পূর্ব রেলের দীর্ঘ বা লম্বা দূরত্বের ট্রেনের ৮৭% এসি যাত্রীবাহী কোচ (১০৯২ টির মধ্যে ৯৪৯) এফডিবিএ সিস্টেম দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছে।
রেলের তরফে বলা হয়েছে, বাকি ১৪৩ টি কামরায় খুব শীঘ্রই এই জাতীয় ডিভাইস যুক্ত করা হবে। তাই সাধু সাবধান, ভুলেও আর ট্রেনে ধূমপান করবেন না। তাতে পড়তে পারেন সমস্যায়।

Leave a Reply