স্ত্রীকে জিতিয়ে শাসক দলের চ্যালেঞ্জ ফিরিয়ে দিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি, জয়ী ঘনিষ্ঠরাও
রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৪ ফেব্রুয়ারিঃ আসানসোল পুরনিগম ভোটে সবুজ ঝড়ের মধ্যেও ব্যতিক্রম চৈতালি তেওয়ারি। পরিচয়ে তিনি আসানসোল পুর এলাকার বিজেপি নেতা তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি স্ত্রী। সেই চৈতালি তেওয়ারি আসানসোলের রেলপার এলাকার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয় পেয়েছেন। দেড় হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে নিকটবর্তী তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী রীতা বিশ্বাসকে হারিয়ে দিয়েছেন।
প্রথমবার আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয় পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি চৈতালি তেওয়ারি। পরেই স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ জিতেন্দ্র জায়া।
এদিন ভোট গণনা শুরু হতেই রাজ্যের অন্যান্য তিনটি পুরনিগমের মতো আসানসোলে এগিয়ে যেতে থাকেন জোড়াফুল প্রার্থীরা। তবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১,৫৬১ ভোটে রীতা বিশ্বাসকে হারিয়ে দিয়েছেন জিতেন্দ্র জায়া চৈতালি। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়ে এই জয়ে খুশি চৈতালি। আর সেই জয়ের এল ভ্যালেন্টাইনস্ ডে তে । এই জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব স্বামীকেই দিচ্ছেন চৈতালি। তাঁর কথায়, উনি এই ভোটে আমার ছায়াসঙ্গী হয়েছিলেন। তারজন্য তাকে ধন্যবাদ। এতটুকু বলতে পারি, আমার জীবনের সঙ্গী আমি ভাল পেয়েছি।’’.
স্ত্রীর জয় ও তার প্রশংসা নিয়ে জিতেন্দ্র তেওয়ারির বক্তব্য, ‘‘পৃথিবীর সব পুরুষই এমন সার্টিফিকেট পেতে চায় তার স্ত্রীর কাছ থেকে ।
গত বিধান সভা নির্বাচনের আগে তৃনমুল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। পান্ডবেশ্বরে প্রার্থী হয়েও হেরে যান। আসানসোল পুর ভোটে নিজে না লড়াই করে স্ত্রীকে প্রার্থী করেন। জয়ের পরে স্ত্রীকে তার পরামর্শ, ‘‘আসানসোল পুরনিগমের দলের প্রার্থীদের অনেক ওয়ার্ডে জয়ের সম্ভাবনা ছিল। জোর করে সন্ত্রাস করে হারানো হয়েছে। তবে কর্মীদের পাশে থাকতে হবে। আসানসোলের বঞ্চনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। ভাল কাজের প্রশংসাও করতে হবে।
এবারের পুর ভোটে তার ঘনিষ্ঠদের অনেকেই বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন, যারা তার সঙ্গে তৃনমুল কংগ্রেস ছেড়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই জিতেছেন। ২৯ ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন তার ছায়া সঙ্গী বলে পরিচিত গৌরব গুপ্ত। ১৮ নং ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন অমিত তুলসিয়ান। হেরেছেন আদর্শ শর্মা। একইভাবে কুলটি এলাকা থেকে বাপ্পা ওরফে অভিজিৎ আচার্য জিতলে না পারলেও, জিতেছেন তার স্ত্রী ইন্দ্রানী আচার্য।