ASANSOL

আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অপারেশন প্রায় বন্ধ

আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় এ্যানাস্থেসিস্ট নেই

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ৮ মার্চঃ ( Asansol News ) বলতে গেলে ঘোর সংকট আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ( Asansol Super Speciality Hospital )। প্রয়োজনীয় বা পর্যাপ্ত সংখ্যায় এ্যানাস্থেসিস্ট বা রোগীকে অচৈতন্য করার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন প্রায় বন্ধ আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বেশ কিছু দিন ধরেই এমন পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে রাজ্যের অন্যতম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। একমাত্র অতি জরুরি বা হাইলি এমারজেন্সি ক্ষেত্রেই রোগীদের অপারেশন করা হচ্ছে।


স্বাভাবিক ভাবেই এইভাবে জেলা হাসপাতালে অপারেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস গোটা বিষয়টি জেলা ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানিয়েছেন।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ শেখ ইউনুস জেলা হাসপাতালে এ্যানাস্থেটিস্ট অভাবের কথা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে বলেছেন।
কিন্তু, মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি। কবেই বা এই সমস্যার সমাধান হবে, তাও এদিন জানা যায় নি।


তবে, আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এ্যানাস্থেসিস্টের আকালের এমন ছবি মাস কয়েক আগেও ছিলো না। একটা সময় জেলা হাসপাতালে একসঙ্গে ৭ জন এ্যানাস্থেসিস্ট বা রোগীকে অচৈতন্য করার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। কিন্তু নানা কারনে সেখ সংখ্যাটা কমে এখন ৩ হয়েছে। জেলা হাসপাতালের পুরনো ভবন ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবনে দুটি আলাদা আলাদা ওটি বা অপারেশন থিয়েটার আছে। পুরনো ভবনের ওটিতে মা ও বাচ্চার অপারেশন করা হয়। বাকি সব বিভাগের ওটি হয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওটিতে।
কিন্তু মাত্র ৩ জন এ্যানাস্থেটিস্ট থাকায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অপারেশন প্রায় বন্ধ রয়েছে। পুরনো ভবনের ওটিতে জরুরি অপারেশন হচ্ছে।


৭৫০ বেডের আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একাধিক ওটি যে মাত্র ৩ জন এ্যানাস্থেসিস্ট দিয়ে চালানো সম্ভব নয়, তা হাসপাতাল কতৃপক্ষ বুঝতেই পারছেন। কেননা, জরুরি অবস্থার জন্য একজনকে রাতের জন্য প্রতিদিন রেখে দিতে হচ্ছে। সেই হিসাবে মাত্র ২ জনই ভরসা।
প্রতিদিনই হাসপাতাল সুপারের কাছে অপারেশনের জন্য অনেক রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আসছেন। সুপার তাদের সমস্যার কথা বলে পরে আসতে বলছেন। কিন্তু, প্রশ্ন, অপারেশন না করে কতদিন রোগী অপেক্ষা করবেন? তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে বাইরে গ্যাটের কড়ি খরচ করে বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন।
নিরুপায় সুপার বলেন, আমি কি করতে পারি? অন্য কোন সমস্যা হলে, বিকল্প পথে সমাধান করতাম। এক্ষেত্রে কিছু করার নেই। আমি যেখানে যেখানে জানানোর, তা বলেছি। অন্যদিকে, জেলার সিএমওএইচ বলেন, আমি জানি। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে বলেছি৷ আশা করি, দ্রুত কিছু একটা হবে।

Leave a Reply