ASANSOL

জেলায় শুরু ফাইলেরিয়া দূরীকরণ কর্মসূচি, চলবে ১০ দিন, লক্ষ্য রোগ নির্মূল

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য , আসানসোল, ১৪ মার্চঃ ফাইলেরিয়া রোগ নির্মূল করতে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সোমবার থেকে শুরু হলো ” মাস ড্রাগ এ্যাডমিনিস্ট্রেশান ফাইলেরিয়া দূরীকরণ কর্মসূচি “। এই কর্মসূচিতে এবার বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মীরা লোকেদের ফাইলেরিয়া নির্মূল করতে ঔষধ দিয়ে আসবেন এমনটা নয়। স্বাস্থ্য কর্মীরা পরিবারের সব সদস্যদের সেই ওষুধ খাইয়ে আসবেন। ওষুধ খাওয়ানোর তথ্য স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের রেজিস্ট্রারে নথিবদ্ধ করবেন। বয়সের অনুপাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো ডি.ই.সি ও অ্যালবেন্ডাজল ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। তবে ২ বছরের কমবয়সী শিশু, গর্ভবতী মহিলা ও বড় কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত কাউকে এই ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।

ফাইলেরিয়া দূরীকরণ কর্মসূচি


রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এই কর্মসূচি নিয়েছে। এই কর্মসূচি চলবে আগামী ১০ দিন ২৪ মার্চ পর্যন্ত।
এদিন সকালে আসানসোলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ অফিসে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ছিলেন জেলার সিএমওএইচ ডাঃ শেখ ইউনুস, ডেপুটি সিএমওএইচ (২) অনুরাধা দেব সহ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। সাধারণ মানুষেরা এই ওষুধ খেতে যাতে ভয় না পান তারজন্য এদিনের কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা নিজেরা তা খান।
এই প্রসঙ্গে সিএমওএইচ বলেন, রাজ্যের অন্য সব জেলায় ফাইলেরিয়া রোগে আক্রান্ত কেউ নেই। তারা পাশ করে গেছে। একমাত্র ঝাড়খণ্ড লাগোয়া দক্ষিণ বঙ্গের পাঁচটা জেলা পাশ করতে পারেনি। তাই পশ্চিম বর্ধমান সহ ৫ টি জেলায় এদিন থেকে ১০ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।


তিনি আরো বলেন, গত বছর জেলায় ৫ হাজার জনের পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৭ জনের ফাইলেরিয়া রোগ ধরা পড়েছিলো। তাতে আমাদের মনে হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা ওষুধ দিলেও অনেকে তা খাচ্ছেন না। তাই এবার সেই পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সব সদস্যদের ওষুধ খাইয়ে আসবেন৷ কেউ খেতে না চাইলে, তাকে বোঝাতে হবে। এই রোগ কারোর থাকলে তা একবারে প্রথমে ধরা পড়ে না। সাধারনতঃ এই রোগে পা ফুলে যায়। যাকে চলতি কথায় ” গোদ ” বলা হয়। তবে এই ওষুধ খেলে রোগ নির্মূল হয়ে যায়। একজনের থেকে অন্যজনের ছড়িয়ে পড়ারও সম্ভাবনা থাকেনা।

Leave a Reply