ASANSOL

শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষমদের জন্য মেডিকেল বোর্ড

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। এতদিন দুয়ারে সরকার প্রকল্পে প্রতিদিনের জীবনের জরুরী বিষয় গুলো থেকে লক্ষী ভান্ডার পর্যন্ত আবেদন পত্র নিয়ে বাসিন্দারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এই প্রথম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিভিন্ন ব্লক এবং পুরসভাতে দুয়ারে সরকারের জন্য শিবিরে মানসিক ও শারীরিকভাবে যারা অক্ষম তারা তাদের  মেডিকেল শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন। এই আবেদনপত্রে ৪০% যারা পাবেন তারা সরকারের মানবিক প্রকল্পের আওতাধীন হবেন।  মাসে মাসে তারা আর্থিক সাহায্য পাবেন। এই সব মানুষের  সেই আবেদনের ভিত্তিতে শংসাপত্রের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে  ১৮০ জন শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম প্রতিবন্ধীরা মেডিকেল বোর্ডে উপস্থিত  হলেন ।

গত কয়েকদিন আগেই তাদের আবেদন পত্রগুলো শারীরিক অক্ষমতা  অনুযায়ী ভাগ করা হয়।  আবেদনকারীদের মধ্যে বারাবনির কেলেজোড়ার সন্তোষ হেমরম কিংবা সালানপুর জিতেন্দ্র সাহ নির্মল  সরেন বলেন সাধারণত জেলা হাসপাতালে আবেদন করলে একটি শিবিরের তারিখপেতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা দুয়ারে সরকারের আবেদন করার কয়েক দিনের মধ্যেই এই মেডিকেল বোর্ডের সুযোগ পেলাম এবং ব্লক থেকে সার্টিফিকেটগুলো আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই পেয়ে যাব । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য যে এত ভেবেছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।

 বাহাদুরপুরের কল্পনা রুইদাস কিংবা জামুড়িয়ার আকাল পুরের মুসফিকা আনজুম কাজীর পরিবারের মানুষেরা বলেন সবচেয়ে আনন্দ লাগছে আমরা এখানে এসে যখন জানলাম যে আমাদের দু টাকা দিয়ে নাম লিখিয়ে টিকিট করতে হবে সেই কাজটা এখানকার সুপার নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায় করিয়ে রেখেছেন তখন আরো আনন্দিত হয়েছি। এরপর দেখলাম আমাদের জন্য খাবার জলের ব্যবস্থা এবং টিফিন এর ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকারি উদ্যোগে। তাদের এই মানবিকতাকে আমরা কখনো ভুলতে পারবো না ।

সালানপুর ব্লকের সমাজকর্মী বিজয় সিং বলেন আমাদের এলাকার বিধায়ক এর নির্দেশে আমরা ৮৪ জনকে বাস এবং গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম এবং এক দিনেই ৬জন চিকিৎসক তাদের মেডিকেল পরীক্ষা করে বিকেলে ছেড়ে দিয়েছেন ।আমরাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ ।ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায় বলেন সালানপুর ব্লকের ৮৪ জন, রানীগঞ্জ ব্লকের ১৫  জন ,জামুরিয়া ব্লকের১০ জন বারাবনি ব্লকের ২৩ জন এবং জামুরিয়া বাহাদুরপুর থেকে ৩০ জনকে পাঠানো হয়েছিল। হাসপাতাল থেকেই আমরা ওদের টিকিট করা ছাড়াও টিফিন এবং খাবার জলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম ।এবার আমরা এই সার্টিফিকেটগুলো বিভিন্ন ব্লকে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই পাঠিয়ে দেবো। সেখান থেকেই এইসব মানুষেরা সংগ্রহ করে নেবেন।

Leave a Reply