ASANSOL

দুষ্কৃতীদের দ্বারা কোন বন জঙ্গল, জীবজন্তু যাতে ক্ষতি না হয়, গ্রামে শহরে রুটমার্চ বনদপ্তরের

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :-দোল এবং হোলি উৎসবে কোন দুষ্কৃতীদের দ্বারা কোন বন জঙ্গল, জীবজন্তু যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন গ্রামে শহরে রুট মার্চ করছে বনদপ্তরের অধিকার থেকে শুরু করে বন রক্ষক বাহিনী ।
দোল এবং হোলির প্রত্যেকটা দিনই এবং তার আগের থেকেও দেখা গেল বনদপ্তরের এই রুট মার্চ বিভিন্ন গ্রামে এবং শহরের অলিতে গলিতে।

দোলের আনন্দের মধ্যে সামিল থেকেও বেরঙিন উর্দিধারীরা। যদিও কর্তব্যে অনড় তারা। এমনই চিত্র নজরে এল পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর বন বিভাগের আওতায় থাকা আসানসোল টেরিটোরিয়াল বনাঞ্চলের সমস্ত বন ক্ষেত্র আসানসোল টেরিটোরিয়াল বনাঞ্চলের রেঞ্জার চিরঞ্জীব সাহা নেতৃত্বে।
এ ছবি পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে শহরের রাস্তায় রাস্তায় অলিতে গলিতে রুট মার্চ করছে বনদপ্তরের অধিকারী থেকে শুরু করে বনরক্ষক বাহিনী। সারা রাজ্য জুড়ে দোল পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে। একজনকে আর একজনকে রাঁঙিয়ে দিচ্ছে। নীল সবুজ হলুদ সবুজ আবির সুন্দর সুন্দর মুখ গুলো যেন রঙিন হয়ে উঠেছে। বাজছে গান..হচ্ছে নাচ। হ্যাঁ ওরাও আছে দোল খেলাতেই আছে। কিন্তু অনুভব করতে পারে। উপভোগ করার উপায় নেই তাদের।


হ্যাঁ, ওরা সমাজের বিশাল দায়িত্ব ভার কাঁধে নিয়ে আছে। এরা আর কেউ নয়। এরা রাজ্য বন বিভাগ । যাদের এক কথায় বলা হয় পরিবেশ রক্ষক বাহিনী অথবা জঙ্গল রক্ষক বাহিনী যাদের দ্বারা এই আমাদের এই সুন্দর ভুবন সবুজে ভরে আছে এবং জীবজন্তুরা সুস্থ ভাবে বসবাস করতে পারে ।
ছুটছে গাড়ি নিয়ে। দোল উৎসব এর আগে সতর্কবনদপ্তর কোন মানুষজন যাতে কোনো প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও পাখিদের গায়ে রং না দেয় সেই বিষয়ে এবং বন্যপ্রাণী শিকার করা এবং হত্যা করা দন্ডনীয় অপরাধ বনদপ্তর থেকে জেল এবং জরিমানা করা হবে এলাকার মানুষজন কে সচেতন করতে প্রচার করছে বনদপ্তর এর কর্মীরা নিরন্তরভাবে এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ সে বিষয়েও প্রচার করা হয় গ্রাম্য এলাকায় দুর্গাপুর বনবিভাগের আসানসোল টেরিটোরিয়াল বনাঞ্চলের অন্তর্গত গৌরান্ডি বন ক্ষেত্র ।

কাপিস্টা বন ক্ষেত্র এবং হোদলা বন ক্ষেত্র থেকে পাখি ও বন্য প্রাণীদের স্বীকার না করা ও তাঁদের উত্তপ্ত না করা গায়ের রঙ না দেওয়ার বিষয়ে এবং জঙ্গলে আগুন না লাগানো হয় জঙ্গল রক্ষা করতে বনদপ্তর এর সাথে এগিয়ে আসার কথা বলা হয় জঙ্গলে আগুন লাগলে নিকটবর্তী বনদপ্তর এ যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে জঙ্গলে আগুন লাগাতে গিয়ে দেখা গেলে তার জেল এবং জরিমানা দুটোই করা হবে বেশ কয়েকদিন ধরেই মানুষজনকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হচ্ছে রং উৎসবের আগে থেকেই এই উৎসবের সময় যাতে কোনো দুষ্কৃতী এর সুযোগ না নিতে পারে জঙ্গলের উপর ক্ষতি না করতে পারে জঙ্গল কাটতে না পারে জঙ্গলে আগুন না লাগাতে পারে এবং অন্যান্য বন্য পশু শিকার না করতে পারে তার জন্য বনরক্ষক বাহিনী এবং অধিকারীরা সকাল থেকে সন্ধা গ্রামে গ্রামে টহল দিচ্ছে.. , পাখি খাঁচায় ভরে রাখা ক্রয়-বিক্রয় করা ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের 3 থেকে 7 বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে বন্য জীবজন্তু শিকার করতে তারা বারণ করেন কয়েকদিন ধরেই মাইকিং এবং বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে তারা প্রচার করছেন এ বিষয়ে নজর দারিতে বনদপ্তর জোর দিয়েছে।দোল বললেই মনে হয় ডিউটি। কাজ করতে হবে। মানুষের আনন্দেই তাদের আনন্দ যাতে এই আনন্দের দিনে কোন জীব জন্তুর ক্ষতি না হয় কোন গাছের ক্ষতি না হয় কোন জঙ্গল ক্ষতি না হয় তার উদ্দেশ্যে তাদের এই পরিশ্রম।পুলিশের বনদপ্তর এর আধিকারিক…প্রথমেই জানালেন…ধন্যবাদ। তাদের কথা ভাবার জন্য। বললেন শুধু দোল নয়। যে কোনো অনুষ্ঠানেই তারা সদা সতর্ক। পুলিশ যেমন সাধারণ মানুষদের রক্ষা করছে তেমনি তারা পরিবেশ রক্ষা করছে যেটা এখনকার এই সময়ে খুবই দরকার সবাই ভালো থাকলেই তারা ভালো। এটাই তাদের আনন্দ। আর এটাই কাজ।

Leave a Reply