রানীগঞ্জে সিপিএমের মিছিল
বেঙ্গল মিরর, রানীগঞ্জ, চরণ মুখার্জী : শনিবার বিকেলে বাম দুর্গ নামে খ্যাত সিয়ারসোল রাজবাড়ি এলাকা থেকে লোকসভা উপনির্বাচনের বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী পার্থ মুখার্জী সমর্থনে মিছিল করে পায়ে হেঁটে প্রচার পর্ব সারলেন সিপিআইএমের রাজ্য সভাপতি মোহম্মদ সেলিম। এদিন সিয়ারসোল পুরাতন রাজবাড়ী এলাকা থেকে অসংখ্য কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সুসজ্জিত মিছিল খনি শহর রানীগঞ্জের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।




মিছিলের মাঝেই আদিবাসী মহিলা পুরুষ তাদের চিরা চরিত প্রথায় সমবেত নৃত্য গীতিতে মিছিল কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পায়ে পা মেলান। এদিনের এই মিছিলের অগ্রভাগে লক্ষ্য করা যায় সিপিএমের রাজ্য সভাপতি মোহাম্মদ সেলিমের সাথেই আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী, বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী পার্থ মুখার্জী কে। এদিন মিছিল শুরুর আগেই রাজ্য সভাপতি মোঃ সেলিম জানিয়ে দেন কি কারণে মানুষ তাদেরকে নির্বাচিত করবেন।
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান আমাদের এই রাজ্যে যে জল্লাদ শাসন চলছে, খুনোখুনি, মারামারি, লুটতরাজ চলছে তার অবসান ঘটুক, এটাই চায় সাধারণ মানুষ। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল মানি, মিডিয়া ও মাসল পাওয়ার ব্যবহার করে নকল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। আর এটাকে ভেঙে ফেলতে পারে একমাত্র সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। কারণ এবারের যে নির্বাচন সেই নির্বাচন আমাদের মাথায় থপে দেওয়া হয়েছে, এক রাজনৈতিক দল থেকে অন্য রাজনৈতিক দলের পালাবদল করা মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণেই। যদি এই নির্বাচনকে মানুষ উপযুক্ত ভাবে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই সংঘর্ষ করতে পারে, তাহলে এবারের নির্বাচন কার্যকর হবে, বলেই দাবি করলেন মোহাম্মদ সেলিম।
তার দাবি একমাত্র মানুষকে ন্যায্য অধিকার ও তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য, তাদের হক পাইয়ে দিতে ,সুস্থ সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে বামফ্রন্ট। তাই বামফ্রন্ট প্রার্থী কে জয়ী’ করানোর আহবান জানিয়ে তিনি জানান এই নির্বাচনে সরকার পাল্টাবে না ঠিকই, কিন্তু মানুষের যে অধিকার সেই অধিকার মানুষকে পাইয়ে দিতে ও মানুষের ন্যায্য দাবি আদায়ে, ও উত্তরোত্তর মূল্যবৃদ্ধি রোধের জন্য লড়াই ও এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠা একমাত্র বামপন্থী করতে পারে। যা এবারের নির্বাচনে পার্থ মুখার্জী জয়ী করালে দাবি আদায় সম্ভব হবে বলেই দাবি করলেন সিপিএমের রাজ্য সভাপতি।
তার দাবি রাজ্য ও কেন্দ্র এই একই শিক্কার দুই পেহেলু, দুই সরকারি পেট্রোল ডিজেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করে দিন প্রতিদিন মুনাফা লাভ করছে। আসলে এটা হল হাই হাইকষ্ট ইকোনমির ন্যায্য উদাহরণ। যেখানে বড়লোকেরা আরো বড়লোক হতে থাকে, আর গরিবেরা আরো গরিব হয়। তার দাবি বর্তমানে লুটে খাওয়া, খেটে খাওয়া ও খুঁটে খাওয়া এই তিন ধরনের মানুষ লক্ষ্য করা গেছে, আর তা এই সরকারের দ্বারাই কায়েম হয়েছে, বলেই দাবি করেছেন তিনি।