RANIGANJ-JAMURIA

এক কুইন্টালের বেশী গাঁজা উদ্ধার হলো জামুরিয়াতে, গ্রেফতার এক, কার বাজেয়াপ্ত

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, জামুরিয়া : দু কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধারের পর এবার ফের এক কুইন্টালের বেশী গাঁজা উদ্ধার হলো জামুরিয়া থানা এলাকায়। জামুড়িয়া থানা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় ফের আরও একবার ভারি মাত্রায় গাঁজা পাচারের আগেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর গোয়েন্দা বিভাগ ও জামুড়িয়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অতর্কিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার গাঁজা সহ গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত মুল অভিযুক্ত উত্তম গড়াই কে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল।

শুক্রবার রাত্রে বীজপুর দক্ষিণ পাড়ায় উত্তম গড়াইয়ের বিলাসবহুল চারচাকা গাড়ি তে রাখা ছিল বিশাল পরিমাণ গাঁজা। একইভাবে তার বাড়ি থেকেও ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে তার গাড়ির মধ্যে থাকা ও বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত গাজা পরিমাণ প্রায় 1 কুইন্টাল তিন কেজির মত, যার বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।

শুক্রবার রাত্রি নটা নাগাদ জামুড়িয়া থানার পুলিশ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ দল গাঁজা পাচারের খবর পেয়ে অতর্কিতে অভিযান চালায়, এরপরই মেলে বড়োসড়ো সফলতা। জানা গেছে উত্তম গড়াই তার গাড়ির মধ্যে বেশ কিছু পরিমাণ গাঁজা মজুদ করে পাচারের জন্য রেখেছিলেন একই সাথে বাড়িতেও তার রাখা ছিল বিশাল পরিমাণে গাঁজা, যা এদিনের পুলিশি তল্লাশির সময় পুলিশ হাতেনাতে ধরে ফেলে। শনিবার ধৃত উত্তম গড়াই কে আসানসোল জেলা আদালতে পাঠানো হলে পুলিশ ধৃত ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানান।

জামুড়িয়ায় গাঁজা উদ্ধার এই প্রথম নয় এর আগেও জামুড়িয়া এলাকায় এক বছর আগেই জামুড়িয়ার বড়তলা এলাকার বাসিন্দা, এক গাঁজা পাচারকারী বাড়িতে ও এক গোদম থেকে সেই সময় দুই কুইন্টাল 42 কেজি মত গাঁজা উদ্ধার হয়, এর পাশাপাশি কয়েক কোটি টাকা নগদ অর্থও উদ্ধার করা হয়। সেবারেও পুলিশের বিশাল বাহিনী এই অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করতে তৎপর হয়। উল্লেখ্য জামুড়িয়া এলাকাটি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে এই সমস্ত এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ নেশার কারবারিরা তাদের নেশার কারবার দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে, তার জীবন্ত উদাহরণ একের পর এক এ ধরনের নেশা সামগ্রী উদ্ধারে তা স্পষ্ট, জামুড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা বীরভূম ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে সম্ভবত মাদক পাচারের সফট টার্গেট হয়ে থাকে এই জামুড়িয়া, আর প্রতিবারই পাচারের সঙ্গে যারা যুক্ত থাকে তারা বিলাসিতার জীবনযাপন করার সাথেই এই অংশ থেকেই রাজ্য তথা জেলা বিভিন্ন প্রান্তে গাঁজা পাচার চক্রের কালো কারবার চালায় বলেই গোয়েন্দা মহলের খবর। যদিও উত্তম গড়াই এর সঙ্গে কোন আন্তঃরাজ্য মাদক পাচার চক্রের হদিশ এখনো পর্যন্ত পুলিশ না দিতে পারলেও আগামীতে ওই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি-না সে বিষয়ে স্পষ্ট হবে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply