RANIGANJ-JAMURIA

বাম আমলে পাওয়া ADDA জমিতে শিল্প বা বাড়ি না হওয়ায় ৯৫ জনকেই জমি ফেরত নেওয়ার জন্য শোকজ

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল: ( Asansol Durgapur News Today ) ১৭ বছর আগে বাম জমানায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অত্যন্ত স্বল্পমুল্যে যারা কারখানা বা শিল্প এবং বাড়ি করবেন বলে জমি নিয়েছিলেন কিন্তু শিল্প বা কারখানা গড়েননি বা বাড়ি তৈরি করেন নি এমন আসানসোল- দুর্গাপুরের ৯৫ জনকে এ ডি ডি এর পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে নোটিস দেওয়া হল।এদের ১৫ দিনের মধ্যে জমি ফেরত কেন নেওয়া হবে না তা জানাতে বলা হয়েছে।


আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এই সময়কে জানান ২০০৫ সালের আগে এই সংস্থা বাম জমানায় আসানসোল ও দুর্গাপুরে কারখানা, শিল্প বা বাড়ি করার জন্য জমি দিয়েছিল ।তাদের মধ্যে আসানসোলে ৭৩ জন কে কারখানা ও বাড়ি তৈরীর জন্য এবং দুর্গাপুর মহকুমার ২২ জনকে কারখানা ও বাড়ি তৈরি করার জন্য অনেকের সঙ্গেই জমি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে এই দুই যায়গার ৯৫ জন এখনো জমি ফেলে রেখেছেন । সেই সময় অত্যন্ত কম দামে এই জমি গুলো দেয়া হয়েছিল ।

তিনি জানান আসানসোলে শিল্প করতে কন্যাপুর স্যাটেলাইট টাউন শিপের চারজনকে, রানিগঞ্জ এর মঙ্গলপুরে ১৬ জনকে শিল্প-কারখানা গড়ার জন্য জমি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্যবসা করার জন্য ৪ জনকে এবং বাড়ি করার জন্য আসানসোলে ৪৯ জনকে জমি দেওয়া হয়। দুর্গাপুরে শিল্প করার জন্য ১০ জনকে এবং বাড়ি করার জন্য ১২ জনকে জায়গা দেয়া হয়েছিল। অনেকের সঙ্গে জায়গা পেয়েও ওরা কারখানা,ব্যবসা কেন্দ্র বা বাড়ি তৈরি করেননি ।

চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন বলেন এই সম্পর্কে আমাদের বোর্ড মিটিং এর সিদ্ধান্ত হয় যারা ১৭ বছর অর্থাৎ ২০০৫ এর আগে জায়গা নিয়েছিলেন কিন্তু শিল্পবাড়ী করেননি তাদের সেই জায়গাগুলো ফেরত দিতে হবে। সেই কারণেই আমাদের দপ্তর ওদের নোটিশ পাঠিয়েছে এবং নোটিশে যে জবাবই দিক না কেন এদের জমি ফেরত দিতেই হবে। বিশেষ করে সেইসময় জমির দাম ছিল অত্যন্ত কম। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে বলেছেন নাকি যে তারা তখন যে কারণে ঐ জমি নিয়েছিলেন সেই কারখানা করতে পারেননি। কিন্তু অন্যভাবে যদি কিছু করা যায় সেটা রাই এখন ভাবছেন। যেহেতু তখন যে উদ্দেশ্যে জমি যারা নিয়েছিলেন তাদের সেই উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি ব্যবহার হয়নি। তাই ফেরত দেওয়া একমাত্র সমিচিন।

তিনি বলেন আমরা শুনে আসছি বাম আমলে শিল্প গড়ার জন্য নাকি অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু তখন যাদের জমি দেয়া হয়েছিল তারা ২০১১ পর্যন্ত বাম সরকার থাকলেও কিছুই করেননি আর তা নিয়ে তখন এ ডি ডি এ নীরব ছিল। সেখানেই কিছুই না করে জমিগুলো ফেলে রেখে দিয়েছে ওরা। এবার আমরা সেই জমি ফেরত নিয়ে পরবর্তী মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেবো সেসব জমিতে কি করা হবে।
সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে সবমিলিয়ে আসানসোল দুর্গাপুরে বহু বছর ধরে পড়ে থাকা এমন জমির পরিমাণ অন্তত ৩০ বিঘা হবে।


তাপস বাবু বলেন সোমবার কলকাতায় নগর উন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিবের নেতৃত্বে সমস্ত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গুলোর বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে ঐ দপ্তরের প্রধান সচিব জানান তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক। প্রধান সচিব সরাসরি জানিয়েছেন যে উদ্দেশ্যে জমি নেয়া হয়েছিল সেই উদ্দেশ্য যেহেতু পূরণ হয়নি তাই জমি ফেরত দিতেই হবে। এটাই সরকারের এখনকার জমি নীতির মধ্যে অন্যতম সিরধান্ত। স্বাভাবিকভাবেই আমরাও আমাদের জমি গুলো ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।

Leave a Reply