ASANSOLASANSOL-BURNPUR

বার্ণপুর শহরের বাসিন্দারা এবার বালি বোঝাই গাড়ি চলাচল নিয়ে সরব , শাসক দলের কাউন্সিলর চিঠি দিয়েছেন ডিএম ও সিপিকে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়:( Asansol News Live Today ) শুধুমাত্র আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল নন, এবার ওভারলোড বালি বোঝাই গাড়ি চলাচল নিয়ে সরব হলেন আসানসোল পুরনিগমের বার্ণপুর শহরের ৭৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ওয়ার্ডের দেড়শোরও বেশি মানুষ গণস্বাক্ষর করে একটি মাস পিটিশন জমা দিয়েছেন ৭৮ নং ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্রকে। এই চিঠি দেওয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে ইস্পাত নগরীতে। বুধবার কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বার্ণপুর শহর দিয়ে বালির ট্রাক ও গাড়ি যাতায়াত নিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ, আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার নীলকান্তম ও ডিসিপি ( ট্রাফিক) কে চিঠি দিয়েছেন। ওয়ার্ড বাসিন্দাদের অভিযোগ ও দাবির ভিত্তিতে তিনি আধিকারিকদের কাছে চিঠি লিখে বার্ণপুর শহরের মধ্যে রাস্তা দিয়ে বালি বোঝাই গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য বলেছেন। একই সঙ্গে তিনি বার্নপুরে বালি বোঝাই গাড়ি চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট একটা সময় ঠিক করতে বলেছেন।

ashok rudra file photo

কাউন্সিলর অশোক রুদ্রকে দেওয়া মাস পিটিশনে ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের বার্ণপুর শহরের বাসিন্দারা বালি পরিবহন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় গণস্বাক্ষর করা মাস পিটিশনে লিখেছেন। তারা বলেছেন প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, ডাম্পার ও ট্রাক্টর দামোদর নদীঘাট থেকে বালি নিতে আসে ও সেই বালি নিয়ে আবার ফিরে যায়। গাড়ি গুলো মুলতঃ বার্ণপুরের টানেল গেট, স্টেশন রোড রোড ত্রিবেণী মোড়, স্কব গেটের রাস্তা ব্যবহার করে। এই রাস্তার পুরো এলাকা ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। একটি বড় বাজার ও বার্নপুর স্টেশন এই রাস্তায় আছে। এছাড়াও রয়েছে বার্ণপুর ইস্কো কারখানা। এই রাস্তা প্রচুর সংখ্যায় মানুষ যাতায়াতের জন্য দৈনন্দিন ব্যবহার করে।

এছাড়াও, অনেক মানুষ ( বিশেষ করে স্কব গেট বা টানেল গেট হয়ে) রাতের শিফটে ডিউটি ​​শেষ করতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন। ওভার লোড বালি পরিবহন ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে অনেকে জখমও হয়েছেন। গাড়ি চালকদের গাড়ির স্পিড কমানোর জন্য এলাকার বাসিন্দারা অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা তা শোনেন না। গোটা পরিস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। গোটা বিষয়ে, আমরা আপনাকে কাউন্সিলর হিসাবে অনুরোধ করছি দয়া করে বিষয়টি দেখার জন্য। আপনি যদি সঠিকভাবে পরীক্ষা করেন তবে আপনি অনেক গাড়ির কাগজে অসঙ্গতি খুঁজে পাবেন। আমরা দুটি বিকল্প ব্যবস্থা জন্য বলছি, যাতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতে সাহায্য করবে। প্রথমতঃ বালির ট্রাক চলাচলের সময় মধ্যরাত ১২ টা থেকে সকাল ছটা পর্যন্ত করা যেতে পারে। এই সময়টা এমন যখন রাস্তায় সাধারণ যাত্রী পাওয়া যায় না। এছাড়াও স্থায়ীভাবে বার্ণপুর শহরের রাস্তা ব্যবহার বন্ধ করে বালির গাড়ি চলাচলের বিকল্প পথ খুঁজে বার করা।


যদি আমাদের দাবির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে।
এই প্রসঙ্গে কাউন্সিলর বলেন, ওয়ার্ডের মানুষদের মাস পিটিশন পেয়েছি। তারপর আমি জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের চিঠি লিখে, ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। আমার আশা পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, গোটা বিষয়টি হিরাপুর থানার পুলিশকে বলা হয়েছে। কি করতে হবে, তাও বলে দেওয়া হয়েছে।

copy of letter

Leave a Reply