ASANSOL

সাতদিন হেফাজতে থাকার পর অনুব্রতর দেহরক্ষীর সাইগেল হোসেনকে তোলা হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

বেঙ্গল মিরর,, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ সাতদিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হলো অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগেল হোসেনকে। কলকাতা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকরা এদিন সকালে রওনা দেয়। আসানসোল সিবিআই আদালতে তাকে আনা হয় সাড়ে এগারোটা নাগাদ।

গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল গত ১০ জুন। সেদিন বিকেলে এই মামলার দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব শেষে সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তার জামিন নাকচ করে সাতদিনের সিবিআই হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, এদিনও সিবিআই সায়গলকে আরো একবার নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছে।
শুনানিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো এই মামলার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইও বা তদন্তকারী অফিসারকে শোকজ করা। আইন মেনে সিআরপিসির নির্দিষ্ট ধারায় নোটিশ না পাঠিয়ে সায়গলকে গ্রেফতার করায় বিচারক মামলার আইওকে লিখিত ভাবে কারণ দর্শানোর জন্য শোকজ করেছিলেন। বিচারকের নির্দেশ সেই শোকজের জবাব শুক্রবার জমা দিতে হবে মামলার আইও বা তদন্তকারী অফিসারকে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীদের মতে, সায়গলের কাছে গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। সিবিআই তাকে একাধিকবার নিজামের প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সায়গলের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। এছাড়াও আয়বহির্ভূত বহু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে সাইগেলের কাছ থেকে। নিউটাউনে ফ্ল্যাট, বীরভূমে পেট্রলপাম্প, নগদ টাকা, সোনাসহ প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।

প্রসঙ্গতঃ গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ঘনিষ্ঠদের একের পর এক ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র বর্তমানে পলাতক। এই মামলার অন্যতম এনামুল হক ও বিএসএফের কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও তারা এই মুহুর্তে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছে। একই সঙ্গে বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্রকেও গ্রেফতার করেছিলো সিবিআই। বিকাশ দশদিন আগেই আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়েছে। এদিন কয়লা পাচার মামলার আসানসোল সিবিআই আদালতে শুনানি আছে।

Leave a Reply