ASANSOL

সবজি বিক্রেতাকে বাঁশ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে, ভাইরাল ভিডিও

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়/ কাজল মিত্র : দোষ করার সাজা দিচ্ছে শাসক দলের নেতা। পেটানো হচ্ছে বাঁশ দিয়ে। দর্শক হিসাবে দাঁড়িয়ে থেকে তার মজা নিচ্ছেন শাসক দলের অন্য নেতা ও এলাকার বাসিন্দারা। যাকে পেটানো হচ্ছে, সে মারের হাত থেকে পালিয়ে গেলে, তাকে আবার ধরে আনা হচ্ছে।
শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে, আসানসোল পুরনিগমের ৬০ নং ওয়ার্ডের কুলটির নিয়ামতপুর ৪ নম্বর এলাকায় এক গরীব সবজি বিক্রেতা সোহন কুইরিকে অমানবিক ভাবে বাঁশ পেটানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শিবপ্রসাদ ওরফে চুনচুন রাউতের বিরুদ্ধে। এলাকার সূত্রে জানা যায়, যখন ঐ নেতা এই কান্ড ঘটাচ্ছেন সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের ওয়ার্ড সভাপতি ধর্মদাস সেনগুপ্ত।



নিরীহ সবজি বিক্রেতা সোহন কুইরিকে চুনচুন রাউত বাঁশ দিয়ে পেটাচ্ছে সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই চারিদিকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গল মিরর ।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে এলাকার সবজি বিক্রেতা সোহন কুইরির সঙ্গে ৪ নম্বর এলাকার কয়েকজন যুবকের ঝামেলা হয়। শনিবার দুপুরে সোহন বাড়ি ফিরছিল। সেই ফেরার সময় ঐ যুবকদের সঙ্গে আবার সোহনের ঝামেলা বাঁধে।সেই সময় তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা চুনচুন রাউত সোহনকে বাঁশ দিয়ে মারতে শুরু করে। দু/ তিনবার সে মারের হাত থেকে বাঁচতে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে তা পারেনি। সেখানে থাকা যুবকরা তাকে ধরে এনে চুনচুনের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। চুনচুন আবার তাকে মারতে শুরু করে। মারের চোটে দুটো হাত ফুলে যায় তার। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে এমমটাই দেখা যায়।
এই ঘটনা নিয়ে আরো একবার শাসক দলকে আক্রমন করেছে বিরোধীরা।

আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলরদের দলনেত্রী চৈতালী তেওয়ারি বলেন, গোটা রাজ্যের জেলায় জেলায় শাসক দলের আইন চলছে। বলা ভালো যে, শাসকের গুন্ডারাজ চলছে। আইনের শাসন শেষ হয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসন বলে কিছু আর নেই। নিরীহ ছেলেকে প্রকাশ্যে বাঁশ দিয়ে মারা বা পেটানো হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কেউ দোষ করে থাকলে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে শাসক দলের নেতারা নিজেরাই শাসন করতে শুরু করেছেন বাঁশ দিয়ে মেরে।


তৃণমূল কংগ্রেসের ৬০নং ওয়ার্ড সভাপতি ধর্মদাস সেনগুপ্ত বলেন, এই ভাবে কাউকে মারা উচিত হয়নি। আমরা এইরকম ঘটনা সমর্থন করিনা। যা হয়েছে খুব খারাপ হয়েছে। তবে তিনি নিজে সেখানে থেকেও, দলের নেতাকে থামাননি, সেই নিয়ে ওয়ার্ড সভাপতি কিছু বলেননি।
তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে চরম অস্বস্তি ও বিড়ম্বনায় পড়েছেন কুলটি ব্লক ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব। এক জেলা নেতা বলেন, গোটা ঘটনার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *